চিঠিপত্র كابوا( তামাসা করিলেও চলে। কেমনতর জান ? যেমন ছোট ছেলে বাপের গায়ে পা তুলিয়া দিলে তাহাতে মহাভারত অশুদ্ধ হয় না । কিন্তু তাহ হইতে এমন প্রমাণ হয় না যে বাপের প্রতি সেই ছোট ছেলের ভক্তি নাই, অর্থাৎ নির্ভরের ভাব নাই, অর্থাৎ সে সহজেই বাপকে আপনার চেয়ে বড় মনে করে না । তোমরা তেমনি আমাদেব কাছে এত ছোট যে আমরা নিবাপদে তোমাদের সহিত বেয়াদবী করিতে পারি, এবং অকাতবে তোমাদের বেয়াদবি সহিতে পারি। আর একটা কথা ; সস্তানের শুভাশুভ সমস্তই পিতার উপর নির্ভর করিতেছে, এইজন্য স্বভাবতই পিতার স্নেহের সহিত শাসন আছে এবং পুত্রের ভক্তির সহিত ভয় আছে ;—পদে পদে কঠোর কৰ্ত্তব্যপথে সন্তানকে নিয়োগ করিবার জন্য পিতার আদেশ করিতে হয এবং পুত্রের তাহা পালন করিতে হয়, এই জন্ত পিতাপুত্রের মধ্যে আচবণেব শৈথিল্য শোভা পায় না । এইরূপে পিতার উপরে কঠোর স্নেহের ভার দিয়া দাদা মহাশয় কেবলমাত্র মধুর স্নেহ বিতরণ করেন এবং নাতি নিভয় ভক্তিভরে দাদা মহাশয়ের সহিত আনন্দে হাস্তালাপ কবিতে থাকে । কিন্তু সে হাস্তালাপের মৰ্ম্মের মধ্যে যদি ভক্তি না থাকে তবে তাহা বেয়াদবির অধম । এত কথা তোমাকে বলিবার আবশুক ছিল না, কিন্তু তোমার লেখাব ভঙ্গী দেখিয়৷ তোমাকে কিঞ্চিৎ সাবধান করিয়া দিতে হয় । বাসরে । আজ কাল তোমরা এত কথাও কহিতে শিখিয়াছ ! এখন একটা কথা কহিলে পাঁচটা কথা শুনিতে হয় ! তাহার মধ্যে যদি সব কথা বুঝিতে পারিতাম তাহা হইলেও এতটা গায়ে লাগিত না । ভাবের মিল থাকিলেও অনেক সময়ে আমরা পরস্পরের ভাষা বুঝিতে পারি না বলিয়া বিস্তর মনান্তর উপস্থিত হয়। আমি বুড়ামানুষ, তোমার সমস্ত কথা ঠিক বুঝিয়াছি কি না কে জানে, কিন্তু যেরূপ বুঝিলাম সেইরূপ উত্তর দিতেছি। §
