চিঠিপত্র Ե Պ না” বলিয়, এমন একটি রত্ন অবহেলায় হারাইয়ে না। এই পৰ্য্যন্ত বলা যায় যে, কাহাবও বা এক ভাবেব প্রতি ভক্তি, কাহারও বা আর এক ভাবের প্রতি ভক্তি। কেহ বা লৌকিক স্বাধীনতাব জন্ত প্রাণ দিতে পারে, কেহ বা আত্মার স্বাধীনতাব জন্ত প্রাণ দিতে পারে। এ-সকল কথা তোমাদের বয়সে আমব বুঝিতে পারিতাম না ইহা স্বীকাব করিতে হয়—কিন্তু তোমরা অনেক কুটকচালে কথা বুঝিতে পার বলিয়াই এতখানি বকিলাম । আশীৰ্ব্বাদক শ্রীষষ্ঠীচরণ দেবশৰ্ম্মণঃ । ( 8 ) শ্ৰীচরণেষু— দাদা মশায়, তোমাব চিঠি ক্রমেই হেঁয়ালি হইয়া উঠিতেছে । আমাদের চোখে এ চিঠি অত্যন্ত ঝাপূসা ঠেকে। কোথায় রামচন্দ্র হরিশ্চন্দ্র দধীচি, অতদূরে আমাদের দৃষ্টি চলে না। তোমরাই ত বল আমাদের দূরদর্শিত নাই—অতএব দূরের কথা দূৰ করিয়া নিকটের কথা তুলিলেই ভাল হয়। আমরা যে মস্ত জাতি, আমাদের মত এত বড় জাতি যে পৃথিবীর আর কোথাও মেলে না, তাহাতে আমাদের মনে আর কিছুমাত্র সংশয় নাই। বেদ বেদান্ত আগম নিগম পুরাণ হইতে ইহা অকাট্যরূপে প্রমাণ করিয়া দেওয়া যায়। আমাদের বেলুন ছিল, রেল-গাড়ি ছিল, আমাদের ষ্টাইলোগ্রাফ পেন ছিল গণপতি তাহাতে মহাভারত লিখিয়াছিলেন,
পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৩
অবয়ব