পাতা:সমালোচনা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চণ্ডিদাস ও বিদ্যাপতি।
১০১

পিরীতি মিলয়ে তারে।
পিরীতি-সাধন বড়ই কঠিন
কহে দ্বিজ চণ্ডিদাস,
দুই ঘুচাইয়া এক অঙ্গ হও
থাকিলে পিরীতি-আশ।”

 পরকে আপন করিতে হইলে যে সাধনা করিতে হয়, যে তপস্যা করিতে হয়, সে কি সাধারণ তপস্যা? যে তোমার অধীন নহে, তোমার নিজেকে তাহার অধীন করা– যে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, তোমার নিজেকে তাহার কাছে পরতন্ত্র করা– যাহার সকল বিষয়ে স্বাধীন ইচ্ছা আছে, তোমার নিজের ইচ্ছাকে তাহার আজ্ঞাকারী করা– সে কি কঠোর সাধন!

 যখন রাধিকা কহিলেন,

“পিরীতি পিরীতি কি রীতি মূরতি
হৃদয়ে লাগল সে–
পরাণ ছাড়িলে পিরীতি না ছাড়ে,
পিরীতি গড়ল কে?
পিরীতি বলিয়া এ তিন আখর
না জানি আছিল কোথা!
পিরীতি কণ্টক হিয়ায় ফুটল,
পরাণপুতলী যথা।
পিরীতি পিরীতি পিরীতি অনল
দ্বিগুণ জ্বলিয়া গেল,