সেই ছোট্ট ছেলেটীর হাত ধরে তিনি য়ুরোপের রাজধানীর পথে-পথে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন...এত প্রত্যাখ্যানেও তাঁর মনের বিশ্বাস এতটুকুও ক্ষুণ্ণ হলো না...অল্প বয়সে ভাবনায় তাঁর মাথার সমস্ত চুল একেবারে শাদা হয়ে গেল।
সেই সময় তাঁর দৃষ্টি পড়লো স্পেনের ওপর। তবে প্রথমেই তিনি স্পেনের রাজদরবার পর্য্যন্ত এগুতে সাহস করলেন না। স্পেনের দুজন ডিউক——মেদিনা-সিদোনিয়ার ডিউক ও মেদিনা-সেলীর ডিউক সে সময় ঐশ্বর্য্যের জন্য বিখ্যাত ছিলেন···কলম্বাস তাঁদের কাছে সাহায্যপ্রার্থী হলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেখানেও কোন ফললাভ হলো না। তবে এইটুকু সুবিধা হলো যে মেদিনা-সেলীর ডিউক কলম্বাসকে রাণী ইসাবেলার কাছে যাওয়ার উপদেশ দিলেন।
স্পেনের তখন বড় গৌরবের দিন। স্পেনের সিংহাসনে তখন বসে ছিলেন রাজা ফার্ডিন্যাণ্ড এবং তাঁর সুযোগ্যা স্ত্রী রাণী ইসাবেলা। দয়াবতী এবং বুদ্ধিমতী বলে রাণী ইসাবেলার খ্যাতি তখন য়ুরোপের সর্ব্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। ডিউকের উৎসাহে উৎসাহিত হয়ে কলম্বাস স্থির করলেন, তিনি একবার রাণী ইসাবেলার শরণাপন্ন হবেন।