চক্ষু দিয়ে তিনি দিক্-রেখার দিকে চেয়ে আছেন.. এতদিনের আশা, সে কি এত বেদনার পর, এমনি ভাবে ব্যর্থ হয়ে যাবে?
তৃতীয় দিনের দিন, সকালবেলা হঠাৎ কলম্বাস দেখলেন, সমুদ্রের তরঙ্গে একটা গাছের ডাল ভেসে চলেছে ...তাতে কালোজামের মত ফল তখনও লেগে রয়েছে...
সেই সামান্য একটি ভাঙা ডাল···কি যে আশার আলো নিয়ে এলো···সেদিন রাত্রিবেলা কেউ আর ঘুমোলো না।
হঠাৎ রাত্রির অন্ধকারের মধ্যে কলম্বাস যেন দূরে একটা আলো দেখতে পেলেন, তিনি তাঁর জাহাজের ক্যাপ্টেনকে ডাকলেন···হাঁ, সত্যিই তো আলো একটু করে দেখা যাচ্ছে···আবার কিছুক্ষণ দেখা যাচ্ছে না...
একে-একে জাহাজের সব নাবিকেরাই দেখলো··· একসঙ্গে উন্মাদের মত তারা চীৎকার করে উঠলো, “আলো—আলো!”
আশা করতেও ভয় হয়, কতবার আশা ভেঙে গিয়েছে! তাই তারা রুদ্ধ নিঃশ্বাসে দিগন্ত-রেখার দিকে চেয়ে রইলো···কেউ নড়ে না, চড়ে না, যেন সব পাথরের মানুষ···তাদের চোখের পাতা পর্য্যন্ত পড়ে না, যেন পাথরের চোখ...