১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে··· অর্থাৎ হ্যাভানায় প্রোথিত হবার প্রায় একশ’ বছর পরে···হ্যাভানার কবর-দুয়ার আবার একবার খোলা হলো···তারপর মহাসমারোহে তাঁর দেহাস্থি নিয়ে আসা হলো স্পেনের গ্র্যানাডা শহরে।
গ্র্যানাডার কবর-তলায়ই কলম্বাস শুয়ে রইলেন কয়েক বছর···তারপর ১৯০২ খৃষ্টাব্দে শেষবারের মত আরএকবার তাঁর সুনিদ্রায় ব্যাঘাত করা হলো...তাঁর দেহাস্থি নিয়ে আসা হলো স্পেনের সেভাইলী শহরে!
সেখানে সুন্দর এক স্মৃতি-মন্দির···অমর আবিষ্কারক কলম্বাসের দেহাস্থি ধারণ করবার মত হুবিস্তৃত—সমুন্নত; মায়ের মত পরম স্নেহে···সে মন্দির কলম্বাসের পুণ্যাস্থি বুকে নিয়ে···আজও সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে!
আকাশে সূর্য্য নিশ্চল···মর্ত্ত্যে নিশ্চল কত অভ্রভেদী পর্ব্বতরাজি! তেমনি সারা বিশ্বে আজ নিশ্চল সেই অমর-কীর্ত্তি কলম্বাসের যশোরাশি! পৃথিবীর জীবনে কোনোদিনই সে যশ ক্ষুণ্ণ হবে না—হতে পারে না.. সে যশ অমর···অক্ষয়।