পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जगूजन अण ঘনশ্যামেরও একটা বৈঠকখানা আছে। একটু স্যাতসেঁতে এবং ছায়ান্ধকার। তক্তপোষের ছেড়া সতরঞ্চিতে কিছুক্ষণ বসিয়া থাকিলে দেহ মন জুড়াইয়া যায়, চোখ আর জালা করে না, ধীরে ধীরে নিশ্বাস নিতে হয়। মিনিট পনের ঘনশ্যামের প্রতীক্ষায় বসিয়া থাকার পর তার বন্ধু শ্ৰীনিবাস চিৎ হইয়া শুইয়া চোখ বুজিয়াছিল। আরও আধঘণ্টা হয়তো সে এমনি ভাবে পড়িয়া থাকিত, কিন্তু যাওয়ার তাগিদটা মনে তার এতই প্ৰবল হইয়াছিল যে, ঘনশ্যাম ঘরে ঢোকামাত্র ব্যস্তভাবে উঠিয়া বসিয়া বলিল, “ভালই হল, এসে পড়েছিস আর এক মিনিট দেখে চলে যেতাম ভাই। ডাক্তার আসলে না ?” ‘ডাক্তার ডাকতে যাইনি। টাকার খোজে বেরিয়েছিলাম।” শ্ৰীনিবাস ক্লিষ্টভাবে একটু হাসিল-“দু’জনেরি সমান অবস্থা । আমিও টাকার খোজেই বেরিয়েছিলাম, ওনার বালা দু’টো বাধা রেখে এলাম । শেষ রাতে খোকারও যায় যায় অবস্থা-অক্সিজেন দিতে হল।” একটু চুপ করিয়া কি ভাবিতে ভাবিতে শ্ৰীনিবাস আস্তে আস্তে সিধা হইয়া গেল, “আচ্ছা, আমাদের সব একসঙ্গে আরম্ভ হয়েছে কেন বলতো ? একমাস আগে পরে চাকরী গেল, একসঙ্গে অসুখ বিসুখ সুরু হল, কাল রাত্ৰে এক সময়ে এদিকে সস্তুর মা ওদিকে খোকন--” দুর্ভাগ্যের এই বিস্ময়কর সামঞ্জস্য দুই বন্ধুকে নির্বাক করিয়া রাখে। বন্ধু তারা অনেকদিনের, সব মানুষের মধ্যে দু’জনে তারা সব চেয়ে কাছাকাছি। আজি হঠাৎ পরস্পরকে ঘনিষ্ঠতর নিকটতর মনে হইতে श८ । छ्'ङCनशे ख्ञांतार्थं शंशे शांश्न । “টাকা পেলি না ? ” घनश्giभ भांथों नांळिा । ‘গোটা দশেক টাকা রাখ। নিখিলবাবুকে একবার আনিস।” აo8