পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ চামড়ার ভিজিয়া ওঠার মত শিথিল হইয়া যায়, উত্তেজনা বিমাইয়া পড়ে, মনের মধ্যে কষ্টবোধের মত চাপ দিয়া থাকে শুধু এক দুৰ্ব্বহ উদ্বেগ। অশ্বিনীর মনে খটকা লাগিবে। অগিনী সন্দেহ করিবে। পশুপতি তাকে অশ্বিনীর বসিবার ঘর হইতে বাহির হইয়া আসিতে দেখিয়াছে। পশুপতি যদি ওকগা তাকে বলে, বলিবে নিশ্চয়, অশ্বিনীর কি মনে হইবে না ঘড়িটা ঘনশ্যাম নিলেও নিতে পারে ? এই ভাবনাটাই মনের মধ্যে অবিরত পাক খাইতে থাকে। শরীরটা কেমন অস্থির অস্তির করে ঘনশ্যামের। সন্দেহ যদি অশ্বিনীর হয়, ভাসা ভাসা ভিত্তিহীন কাল্পনিক সন্দেহ, তার তাতে কি আসিয়া যায়, ঘনশ্যাম বুঝিয়া উঠিতে পারে না। এতদিন সে যে অশ্বিনীর ঘড়ি চুরি করে নাই, কোন সন্দেহও তার সম্বন্ধে জাগে নাই অশ্বিনীর, কি এমন খাতিরটা সে তাকে করিয়াছে ? শেষ রাত্ৰে মণিমালার নাড়ী ছাড়িয়া যাওয়ার উপক্রম হইয়াছিল শুনিয়া পাঁচটি টাকা সে তাকে দিয়াছে, এক তাড়া দশ টাকার নোটের ভিতর হইতে খুজিয়া বাহির করিয়া পাঁচ টাকার একটি নোট ছুড়িয়া দিয়াছে। আর দিয়াছে একখানা কাপড় কাচা সাবান। চাকরকে দিয়া আনাইয়া দিয়াছে। সন্দেহ ছোট কথা, অশ্বিনী তাকে চোর বলিয়া জানিলেই বা তার ক্ষতি কি ? বাড়ির সামনে গাড়ী দাড়ানোর শব্দে সে চমকিয় ওঠে। নিশ্চয় অশ্বিনী আসিয়াছে । পুলিশ নয়তো ? আশ্বিনীকে বিশ্বাস নাই। ঘড়ি হারাইয়াছে টের পাওয়া মাত্ৰ পশুপতির কাছে খবর শুনিয়া সে হয়তো একেবারে পুলিশ লইয়া বাড়ী সার্চ করিতে আসিয়াছে। অশ্বিনী সব পারে । না, অশ্বিনী নয় । নিখিল ডাক্তার মণিমালাকে দেখিতে का निभ्रांछि । yer