পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভ্যাজেভিন্ন পত্ৰ’ ৰ । একদিন সকালের ডাকে সত্যপ্ৰসাদ একখানা চিঠি পাইলেন। কলিকাতা হইতে একজন আত্মীয় চিঠিখানা লিখিয়াছে। বেলা এগারটার গাড়িতে সত্যপ্ৰসাদ কলিকাতা রওনা হইয়া গেলেন। রাত্রি এগারটার সময় হাজির হইলেন সহরের বিশেষ অঞ্চলে একটি দোতালা বাড়ীর সামনে। আত্মীয়টিকে তিনি সঙ্গে আনেন নাই । মিহিরের যে বন্ধুটি সঙ্গে আসিয়াছিল তাকে ট্যাক্সিতে বসাইয়া রাখিয়া একা দোতলায় উঠিয়া গেলেন। একটি স্ত্রীলোক বারান্দায় রেলিং ঘোঁসিয়া দাড়াইয়া সিগারেট টানিতেছিল। তাকে জিজ্ঞাসা করিয়া সত্যপ্ৰসাদ দক্ষিণ-পশ্চিমের কোণের ঘরখানার খোলা দরজা দিয়া ভিতরে গিয়া দাড়াইলেন। সোরগোল বন্ধ হইয়া গেল। মিহিরের বন্ধু তিনজন জিজ্ঞাসু এবং মেয়েটি ভীত চোখে চাহিয়া রহিল। মিহির সবে মেয়েটির মুখের কাছে গ্লাস তুলিয়া ধরিয়াছিল। মেয়েটির মুখখানা আশ্চৰ্য রকম কচি আর বিষঃ । বোধ হয়। সেইজন্যই মিহির তাকে পছন্দ করিয়াছে। হাত হইতে গ্লাস পড়িয়া মেয়েটির কম দামী বেশী রঙীন শাড়ীটি ভিজিয়া গেল। মিহির উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল, “বাবা ? সত্যপ্ৰসাদ দুহাত বাড়াইয়া দিয়া : বলিলেন, “আয় বাবা আয় । বুকে আয় আমার ।” বাপের এই নাটকীয় আবির্ভাব ও নাটকীয় আহবান মিহিরের সহ হইল না। পাশ কাটাইয়া সে ছুটিয়া পলাইয়া গেল। Y Yvo