পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ সন্ধ্যার পর কিন্তু প্রতিদিন সব বদলাইয়া যায়। তখন তীব্রতায় মৃদু ও ব্যাপ্তিতে বিপুল এক বেদনাবোধ মন জুড়িয়া থমথম করিতে থাকে। মনে হয় যেন নেশা হইয়াছে। একজনকে ভুলিবান জন্য বন্ধু যে দুরন্ত নেশার সন্ধান দিয়াছিল সে নেশা নয়। ঘুমের ওষুধ খাইয়া জাগিয়া থাকিবার নেশা, স্বপ্ন দেখার নেশা ! বাস্তবের প্রথম বড় আঘাত আসিল উপেক্ষায় । অনেক বেলায় ঘুম ভাঙ্গিয়াছে। স্নান করিয়াও নিজেকে মনে হইতেছে জ্বরছাড়া রুগীর মত। বারান্দায় বাড়ির সকলে জড়ো হইয়া মহোৎসাহে কি যেন আলোচনা করিতেছে। তার কথা ? কেন সকলে তার কথা আলোচনা করে ; ধীরে ধীরে সে কাছে গিয়ে দাড়ায় । কেউ ভ্ৰক্ষেপ ও করে না । মিহির যে এখনো কিছু খায় নাই। সকালে উঠিয়া সে কথা কি মার খেয়াল নাই ? মাসীরা ? দিদির ? মিহিরের মন অসন্তোষে ठशि शांश । তার ভগ্নী বাসন্তীর বিবাহের কথা আলোচনা হইতেছে। পাত্ৰ ঠিক হইয়া গিয়াছে, দেনাপাওনা ঠিক হইয়া গিয়াছে, আগামী মাসের মাঝামাঝি বিবাহের দিন পর্যন্ত স্থির হইয়া গিয়াছে। ছেলের বাবা হঠাৎ একটা অতিরিক্ত দাবী জানাইয়াছেন, খুব সামান্য দাবী। সেই তুচ্ছ বিষয়ে মহাসমারোহে কথা কাটাকাটি চলিতেছে। মিহিরের যেন ধাধা লাগিয়া যায় । বাসন্তীর বিবাহের সব ঠিক হইয়া গিয়াছে সে কিছু জানে না। দিনের পর দিন সকলে এমনিভাবে পরামর্শ করিয়াছে, তাকে ডাকা হয় নাই, খবর cण७भ्रां श्य नाई ! তারপর মিহিরের মনে হয়, তাকে কিছু না জানানো হয়তো SSS)