পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ট্র্যাজেডির পর চোখ দুটো ঝলসে গেছল, সেই থেকে জ্বালা করে। বডড জ্বালা করে দাদা চোখ দুটো আমার । “ষাট, যাট।” চরণ ঘোষ বঁাশের চোঙ্গায় আঙ্গুল ডুবাইয়া চট করিয়া দীনু পাগলার দু চোখে সরিষার তেল লাগাইয়া দেয়। চোখের তেল আর জল মুছিতে মুছিতে দীনু হাসে। পাগল ! যে অসাধারণ কিছু বলে আর করে সেই তো পাগল ? মিহির ভাবিতে ভাবিতে আগাইয়া যায়। কে যেন উপদেশ দিয়া তাকে একদিন বলিয়াছিল, এসব পাগলামি ছাড়ো। আরও কে একজন যেন কার কাছে মন্তব্য করিয়াছিল, কেমন পাগলাটে হয়ে গেছে 6छgव्प्ने । পাড়ার শেষে ললিতাদের বাড়ী। আগে, একবার বাড়ী আসার আগে, যখন তখন সে এবাড়ীতে আসিত। আজ বড় ক্ষুধা পাইয়াছে। চায়ের জন্য অস্বস্তি বোধ হইতেছে। ললিতার মা তাকে আদর করিয়া খাবার আর চা খাওয়াইবেন । বাড়ী আসিয়া চাহিয়া খাইলে ললিতার মা বড় খুন্সী হন। একেবারে যেন কৃতাৰ্থ হইয়া যান। কেবল, ললিতাকে তার ঘাড়ে চাপানোর একটা আশা তিনি পোষণ করেন, এই যা একটু অসুবিধা । তা, এ আশা তার মনে আছে, থাক । কোন ললিতার স্থান তো তার জীবনে আর নাই, কার মনে কি আছে, সে কথা ভাবিবার তার প্রয়োজন কি ? কিন্তু কই, ললিতার মারি অভ্যর্থনায় তো তেমন আগ্ৰহ দেখা গোল না। এতকাল পরে সে আসিয়াছে, তাকে দেখিয়াই আনন্দে বিগলিত হওয়ার বদলে শুধু বলিলেন, “কে, মিহির ?” যেমন বড়ি দিতেছিলেন তেমনি বাড়ি দিতে লাগিলেন, বসিতে আসন দিলেন না, মুখেও বলিলেন না, এসো। ললিতা শুধু একটু জড়সড় হইয়া গেল। একবার চােখ SSS)