পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ সে যে কাছে বসিয়া খায় না, এত অল্প সময়ের মধ্যেই এটা সকলের অভ্যাস হইয়া গিয়াছে ? পাচ টাকা বেতন বাড়িবার সুসংবাদ বহিয়া আনিয়া সুধীরের মাথাটা যেন আজ গর্বেই উঁচু হইয়া আছে। সত্যপ্ৰসাদ তাকে সম্মেহে জিজ্ঞাসা করেন, “পার্মানেণ্ট হতে কত দেৱী আছে তোর ?” সুধীর অহঙ্কারের বাড়তি বিনয়ের সঙ্গে জানায়, “সামনের মার্চ মাসে একটা এগজামিন হবে, তারপর দশ টাকা বাড়িয়ে পার্মানেণ্ট করে দেবে ।” সামনের মাচেরি এখনো ন’মাস বাকী ! সুধীরের ভাব দেখিয়া মনে হয়, আজ রাত্রে ঘুমাইয়া কাল ভোরে উঠিলে যেন দেখা যাইবে, মাচ মাস সুরু হইয়া গিয়াছে। এই বয়সে এত ধৈৰ্য সে কোথায় পাইল কে জানে । মা বলিলেন, “তুইও এমনি একটা কোথাও ঢুকে পড় না মিহির ?” পিসেমশায় বলিলেন, ‘হ্যা, একটা কিছু করতে হবে বৈকি। বসে থাকলে চলবে কেন ?” দিদি সুধীরের দিকে চোখ রাখিয়া বলিল, “বসে থেকে দিন দিন স্বভাব আরও বিগড়ে যাচ্ছে। দক্ষিণের জানালাটা তুই বন্ধ করে রাখিস তো মিহির। ওদিকে পুকুরঘাট, মেয়ের চান করে, কি দরকার তোর ওদিকের জানালা খুলে রাখবার ?” ঘরে গিয়া মিহির দেখিল, সিগারেটের প্যাকেটে একটিও সিগারেট নাই। বালিশের পাশে একটা আধখানা সিগারেট নিভাইয়া রাখিয়াছিল মনে পড়ায় মিহির সেটি খুজিতে বালিশটা উল্টাইয়া দিল। আশ্চর্য হইয়া দেখিল, বালিশের নীচে চান্দরটি ধবধবে পরিষ্কার। চাদরের বাকী সমস্তটা এমন ময়লা হইয়া গিয়াছে ? কতদিন আগে বালিশের SSR R