পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांडी উত্তেজনার সীমা থাকে না। পরিচিত অপরিচিত সকলের কাছে সুযোগ পাইলেই সে বলিয়া বেড়ায় মিসেস লাইয়ন তার ছেলেকে কত ভালবাসে। মাঝে মাঝে প্রমাণ ও দাখিল করে । “পশু সকালে জ্বর হয়েছিল বলে কাজে যায়নি তো, বললে না। পেত্যয় যাবে দাদা, একটু বেলা হতেই মেমসায়েব নিজে খোজ নিতে লোক পাঠিয়ে দেছে। সে এক কাণ্ড আর কি !... ভুবনের বীে রোজই প্ৰায় ছেলেকে জিজ্ঞাসা করে, আজ কি বললো রে মেমসায়েব ?” মনোহর সাগ্ৰহে, সগৰ্বে বিস্তারিত বিবরণ বলিয়া যায়। কেবল মা’র কাছে নয়, যে শোনে তাবই কাছে। ফেনাইয় ফাপাইয়া এবং বানাইয়াও এত কিছু বলে যে সব কথা কাণে গেলে লাইয়ন সাহেবের হয় তো সন্দেহই জাগিয়া যাইত, বিশ বাইশ বছর আগে কোর্টিং-এর সময় যেমন করিত এতদিন পরে মিসাস লাইয়ন বুঝি সহকারী মালীটার সঙ্গে আবার তারই পুনরাভিনয় আরম্ভ করিয়াছে। আসলে মিসেস লাইয়ন হয়তো বাগানে আসিয়া ডাকে, “মালী-ই-ই... ” প্ৰধান মালী বৃন্দাবন সামনে গিয়া বলে, “হুজুর ' মিসেস লাইয়ন একটা ফুলগাছ দেখাইয়া দিয়া জিজ্ঞাসা করে, ফুল ফোটে নাই কেন ? বৃন্দাবন বুঝাইয়া দিবার চেষ্টা করে যে বছরের এক এক সময়ে এক একটা গাছে ফুল ফোটে, সব সময় ফোটে না । ‘বজ্জাত! উস্‌! তুম কুছু জানতা নাই। মনোহর কাছেই থাকে, তখন ডাক পড়ে। তার। মেমসায়েব যা বলে তাই সে স্বীকার করিয়া নেয়, কিছুই বুঝাইবার চেষ্টা করে না। বেশী করিয়া জল আর সার দিলে ফুল ফুটিবে না ? নিশ্চয় ফুটিবে УSC.