পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ তুলিয়া ফেলিবে ? ক্ৰ কুঁচকাইয়া মনোহর এই গুরুতর প্রশ্নের জবাব খুজিতেছে, বৃন্দাবন আসিয়া তার দাবী জানায়, “মতে ভাগ দিঅ !” বৃন্দাবন সুপিরিয়ার অফিসার, বখশীশে ভাগ বসাইবার অধিকার তার আছে। মনোহলের কাছে খুচরা পয়সা ছিল না, বৃন্দাবনের কাছে ভাঙ্গানি থাকিলেও চকচকে টাকাটি ভাঙ্গাইতে মনোহর কিছুতেই রাজী হয় না। বৃন্দাবন তাকে গালি দিতে আরম্ভ করেসঙ্গে সঙ্গে বখশীশের ভাগ না পাওয়ার জন্যই কেবল নয় । সেদিন বাড়ীতে মনোহর বিবরণ দেয় : মেমসায়েব কি বললো জানো, বললো, আমার মত কাজ কেউ জানে না। রোদে কাজ করে করে ঘোমে গেছি দেখে নিজে আমায় ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে সরবৎ খেতে দিল। কি মিষ্টি সরবৎ। । কি গন্ধ সরাবতে ! / বখশীশের কথাটা মনোহর উল্লেখ করে না । ভুবন জানিতে পারিলে টাকাটা কাড়িয়া নিবে। ভুবন শত্রু ও মিত্রের কাছে বিবরণ দেয় ঃ কি চোখেই ষে ছেলেটাকে দেখেছে মেমসায়েব। বললে না পেত্যয় যাবে, আজকে ঘরে নিয়ে কাছে বসিয়ে খাইয়েছে। ফল মিষ্টি আর সরবৎ খাইয়েছে, অন্য কিছু নয়।... ভোরে মনোহর কাজে যায়, দুপুরবেলা ভাত খাইতে বাড়ী আসে । আবার বিকালে কাজে গিয়া সন্ধ্যার সময় ফিরিয়া আসে । সব মাটির শরীর একদিন মাটিতে মিশিয়া যায় সত্য কিন্তু আপাততঃ মাটি ঘাটিয়া মনোহরের দেহে অপূর্ব শ্ৰী দেখা দিতে থাকে। রায়বাহাদুরের বাগানে কাজ আরম্ভ করার আগে সে ছিল শুষ্ক শীর্ণ আর নোংরা, কয়েক বছরে তার এমন পরিবর্তন হইয়াছে যেন তার SSb”