পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচ্ছল্পের মত মিসেস লায়ইনের বাগানে ঘুরিতে ঘুরিতে মনোহর ভাবিতে থাকে, আজই মেমসাহেবের কাছে বিদায় নিতে হইবে। এ বাগানে কাজ করিবার এতটুকু আগ্রহও আর মনোহরের নাই। রায়বাহাদুরের বাগানে যাওয়ায় জন্য তার মনটা ছটফট করিতেছে। এ বাগানে মানুষ কাজ করে। বাগানের মাঝখানে দাড়াইয়া চোখ বুজিলে আর টের পাওয়া যায় না যে এখানে বাগান আছে। নিজের মনে এখানে কিছু করিবার উপায় নাই, কলের মত শুধু খাটিয়া যাওয়া। এ যেন জেলখানার বাগানে জেলের কয়েদীর কাজ করা। রায়বাহাদুরের বাগানে সে যা খুলী করিতে পারিবে। কেউ প্রশ্ন করিবে না, বাধা দিবে না, দিন দিন বাগানের উন্নতি দেখিয়া শুধু খুন্সী হইবে। প্রতিদিন বাছিয়া বাছিয়া সে ফুল তুলিয়া দিবে, রায়বাহাদুরের বীে আর মেয়ের সেই ফুলে গাঁথিবে মালা। ছবির মত করিয়াই সে এবার রায়বাহাদুরের বাগানটি সাজাইবে—শুধু সুগন্ধি ফুলের গাছে। আরও রাশি রাশি ফুল ফুটাইবে। কাছে গিয়া চোখ মেলিয়া দেখিতে হইবে না, অনেক দূৱ হইতেই লোকে টের পাইয়া যাইবে, কাছাকাছি ফুলের বাগান আছে। ‘কাল থেকে কাজে আসব না, বৃন্দাবন।” বৃন্দাবন বিশ্বাস করিল না-‘হঁঃ ” মিসেস লাইয়ন আর আসেই না । শেষ বেলায় সোনালী রোদ বাগানে আসিয়া পড়িয়াছে। রোদের তেজ কমিয়া আসার সঙ্গে বাগানের রঙ যেন আরও উজ্জল, আরও বৈচিত্রময় হইয়া উঠিতে থাকে। বোকার মত দাড়াইয়া মনোহর মাথা নাড়ে, নিজের মনে বলে, नों, ७qऊ इ७ डांदा नभ । সূৰ্যাস্তের পর বাগানে নামিয়া আসিয়া মিসেস লাইয়ন ডাকিল, “মালী-ই-ই- ** Svo