পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गभूष्णींद्र श्वांप्री আমার স্বামী সেজে আমায় নিতে এসেছে। তোমার কি ভয় ছিল আমি এমনি তোমার সঙ্গে যাব না ? তাই স্বামী সেজে এসেছে ? চল না কোথায় নিয়ে যাবে আমাকে । তুমি অতবড় সাধু, এতদিন দেখে আমার ভুলতে পারোনি-এতদিন পরে আমায় নিতে এসেছে। তুমি ডাকলেই আমি তোমার সঙ্গে বেরিয়ে যাব। চলে আমায় নিয়ে-স্বামীর চেয়ে বড়ো করে তোমায় দেখবো, স্বামীর চেয়ে তোমায় বেশী ভালবাসব ।” কৃষ্ণপদানন্দ হতাশার সুরে বলিল, “কিন্তু আমি যে সত্যই তোমার अवाधी ठूरभङि ।” সুমতি ক্ষোভে আত্মহারা হইয়া বলিল, “কোন ভয় করছি ? কেন ভাবিছ, স্বামী নাও বলে তোমাকে কম ভালবাসব ? স্বামীকে আমি ভুলে গেছি। তােমাকেই আমি ভালবাসি।” অন্ধকারেও বোঝা গেল এবার কৃষ্ণপাদানন্দের গলার সুর হাল্কা ठूद्देश्ना श्चिाgछ । “তাই ঠিক সুমতি । দশ এগার বছর স্বামীকে চোখেও দেখনি, তাকে ভুলে যাওয়া আশ্চর্য নয়। তবু বেছে বেছে আমাকেই ভালবেসে ফেললে কেন ?” “তা জানি না। তোমাকে দেখেই আমার কেমন যৌন-সুমতি চুপ করিয়া গেল। অনুভব করিল, কৃষ্ণপদানন্দ যেন অন্ধকারে হাসিতেছে। বেদীর বহু প্ৰদীপের একটি জালিয়া সে দেখিতে পাইল, সত্যই কৃষ্ণপাদানন্দের মুখে একটা দুর্বোধ্য ব্যঙ্গের হাসি ফুটিয়া আছে। ক্ষণিকের জন্য সুমতির মনে হইল, এ যেন তার চেনা হাসি, একদিন বিদায়কামী কার মুখে যেন এই হাসি দেখিয়া সে কঁাদিয়া ফেলিয়াছিল।

  • আচ্ছা, ঘুমোতে যাও সুমতি।”

S8S