পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি খোয়া আমায় ? তোমার নিজের লোক, ছেলেটাকে শাসন কবিতে পারনি রায় বাহাদুর ? আমি শ্রেফ জবাব দিলাম,-আমার কাছে যদিন ছিল ভালই ছিল সার, কুসঙ্গে মিশে পরে বিগড়ে গেছে। তারপর থেকে বাড়ীতে ঢুকতে দিই না। সার। আমার হয়েছে জ্বালা । কোন মাথা পাগল ছেলে কোথায় স্বদেশী করবে, একটা সম্পর্ক আছে বলে দায়ী হব আমি। অমান সম্পর্ক তো আছে দশ বিশ গণ্ডা ছেলের সঙ্গে, সবাইকে সামলে চলতে হবে নাকি আমায় ?” শুধু মিহিরকে জহরের অনুপস্থিতির কারণটা বুঝাইয়া দিবার জন্য এত ব্যাখ্যা যেন নয়, রায় বাহাদুর যেন নিজেকেও বুঝাইতেছেন। আরও অনেকবার আরও অনেকের কাছেও হয়তো এমনি ভাবে নিজেকে সমর্থনের চেষ্টা করিয়াছেন। অল্পক্ষিণ আগে বরযাত্রীরা আসিয়া পড়িয়াছে, চারিদিক হইতে হাজার দায়িত্ব শিকল বাধা কয়েদীর মত র্তাকে টানিতেছে, এক মুহুর্ত দাড়াইয়া কথা বলিবার সময় তঁর নাই। তবু মিহিরের মত তুচ্ছ মানুষের কাছে। এ কথাটা প্ৰমাণ না করিয়া তিনি যেন নড়িবেন না যে জহরকে বর্জন করাই র্তার উচিত হইয়াছে, অন্য কোন উপায় তার ছিল না । “তা ছাড়া কি জান, সন্ধ্যার পর সহরে বাড়ীর বাইরে আসতে 9ांश न्। अवध) अभि-? মিহির তা জানে। রায়বাহাদুর চেষ্টা করিলে সন্ধ্যার পর বাড়ীর বাইরে কেন, যখন খুলী গ্রামের বাহিরেও জহর যাইতে পারে । কিন্তু চেষ্টা করিতে রায় বাহাদুরের সাহস হয় না । ইচ্ছা হয় তো হয়। ধর্মোন্মাদের পথভ্রান্ত মানুষকে স্বর্গের একমাত্র পথটি দেখাইয়া দিবার ইচ্ছার মত জহরকে দলে ভিড়ানোর সাধ হয় তো রায় বাহাদুরের জাগে। নিজের কাছে তিনি অপরাধী S80 o