পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি খোয়া ‘আছি। এক রকম।” খুব হাসিখুসীি ছিল মানুষটা, ছেলেমানুষের মত ক্যারম খেলিতে বড় ভালবাসিত। খেলার সময় ক্যারমের গুটি নিয়া মুখে পুরিয়া বিরক্ত করার জন্য একবার নিজের দেড় বছরের ছেলেকে একটা চড় বসাইয়া দিয়াছিল, মিহিরের মনে আছে। আরও মনে আছে, সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে কোলে তুলিয়া সকৌতুক অনুতপ্ত হাসির সঙ্গে বলিয়াছিল, “তুই ? আমি ভাবলাম বিড়াল বুঝি!” ‘ছুটিতে আছেন ?” “ছুটি ? কিসের ছুটি ? ছুটির পাল ঢের দিন সাঙ্গ হয়ে গেছে।” কথা বলিলেই খেকি কুকুরের ভদ্রতায় জবাব আসে। কৌতুহল চাপিয়া মিহির চুপ করিয়া রহিল। একটু পরে মনোহর আপনা হইতেই কথা বলিল, এবার গলাটাও মনে হইল একটু মোলায়েম।

  • फांद्द्कर्दी (न्झे उलांझे ।”

“ছেড়ে দিয়েছেন ?” “তুমি পাগল নাকি, চাকরী ছেড়ে দেব ? ছাড়িয়ে দিয়েছে। ঘরে ওই ভাইরূপী মূতিমান শনি জুটেছেন আমাদের, সর্বনাশ করে ছাড়লে একেবারে ।” জহর কাছে দাড়াইয়া দাদার মুখের দিকে চাহিয়া কথা শুনিতেছিল, এতক্ষণ পরে মনোহরও মুখ ফিরাইয়া তার দিকে চাহিল। তখন কয়েক মুহুর্তের জন্য ভাই-এ ভাই-এ দৃষ্টির যে মিলন ঘটিতে দেখিল জীবনে কখনো মিহির ভুলিতে পারিবে না। খুনীর সংস্পর্শে তাকে আসিতে হইয়াছে, সামনে দাড় করাইয়া খুনীকে সে জেরা করিয়াছে, কিন্তু সেটা খুনের পর। খুনীর চােখে তখন শুধু প্রতিক্রিয়া আর আইনের S8s