পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি খোয়া দরজার কাছ হইতে বৌটির নীচু ঝাঁঝালো গলার মন্তব্য শোনা গেল, “ভাই চাকরী খেয়েছেন, রায় বাহাদুরকে ধরে একটু সুবিধের চেষ্টা দেখবে দাদা, তা কেন সইবে বোনের।” মনোহর মোড়া ছাড়িয়া উঠিয়া শান্তির সামনে দাড়াইল । ‘যাবি না। তুই ? যাবি না ?” শান্তি বোধ হয় মাথা নাড়িয়া অসন্মতি জানাইয়াছিল, মিহিরের চােখে পড়ে নাই। শাস্তির গালে মনোহরের চড়টাই শুধু তার চােখে পড়িল, শব্দটা কাণে আসিল । তারপর শান্তি কোথায় গেল কে জানে, অন্য সকলে দল বঁাধিয়া রায় বাহাদুরের বাড়ী নিমন্ত্রণ রাখিতে চলিয়া গেল। মিহিরের মাথার মধ্যে কেমন করিতেছিল, বাড়ীটা হঠাৎ শূন্য হইয়া যাওয়ায় এবার যেন রীতিমত ভয় করিতে লাগিল । ‘qवाद्ध यांछे छश्ल।' “খিড়কির দরজা দিয়ে চুপি চুপি বেরিয়ে যাবি ?” “খিড়কির দরজা দিয়ে যাব কেন ?” “তোর যদি কোন ক্ষতি হয় ।” “তুই পাগল হয়ে গেছিস জহর। সদরের দরজার কাছে গিয়া মিহির একটু দাড়াইল। জহরের সঙ্গে এক রকম কোন কথাই বলা হয় নাই। এ বাড়ীতে এতক্ষণ তার নিশ্বাস নিতেও যেন কষ্ট হইতেছিল, সোজাসুজি রায় বাহাদুরের বাড়ীতে হট্টগোলের মধ্যে হাজির হইলে নিশ্বাস বোধ হয় তার বন্ধই হইয়া যাইবে । ‘দীঘির ঘাটে গিয়ে বসব চল জহর ।” ‘আমি ? ও বাবা, ঘরের বাইরে গেলে রক্ষা আছে!’