পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষ হাসে কেন রোগী আসিলে সকলে হাসি থামায়। এত অল্প সময়ের মধ্যে এত সহজে থামায় যে নিজের নতুন গাড়ীটার কথা রসময়ের মনে পড়িয়া যায়। রসময়ের হাসি পায়। ঠোঁট তার ফাক হইয়া যায়, কিন্তু সে হাসে না, রোগী আসিয়াছে বলিয়া গম্ভীর মুখেই রোগীর দিকে তাকায় । পূর্ণিমার আগের সন্ধ্যায় রসময় বাড়ীর ভিতর হইতে সকলের তাসি শুনিতেছিল। হঠাৎ হাসি থামিয়া যাওয়ায় বুঝিতে পারিল রোগী আসিয়াছে। বাড়ীর ভিতরে রোগীও ছিল, হাসিও ছিল। রসময়ের মেয়ে নলিনীর একটু জর হইয়াছে, নলিনীর সাত বছরের ছেলে পল্টর পোকায় ধরা দাতে ব্যথা হইয়াছে, বাড়ীর পুরানো ঝি বুড়ির পা ফুলিয়াছে এবং রসময়ের বড় ছেলে হেমন্তের বেী সরস্বতীর মাথা ধরিয়াছে। হাসি চলিতেছিল রসময়ের নিজের ঘরে । হাসিতে হাসিতে তার বিধবা বোন সুহাসিনীর দম থাকিয়া থাকিয়া আটকাইয়া আসিতেছিল। রসময়ের বেী রাণী আর সুহাসিনীর মেয়ে অরুণা মৃদু মৃদু হাসিতেছিল আর মিনিট খানেক গভীর বিষন্ন মুখে চুপ করিয়া থাকিয়া থাকিয়া হঠাৎ মিনিট খানেকের জন্য খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিতেছিল রাণীর সপি উমাচরণের মেয়ে পূর্ণিমা। মেয়েদের হাসানোর জন্যই গ্রামোফোনের হাসির রেকর্ড তৈরী হয়, রসময় তা জানিত। তবু এদের এমন করিয়া হাসানোর মত রেকর্ডে কি আছে আবিষ্কার করার জন্য ঘরের বাইরে বাড়ান্দায় বসিয়া সবে গড়গড়াটি টানিতে আরম্ভ করিয়াছে, কি করিয়া যে ঘরের মধ্যে সকলে তার উপস্থিতি টের পাইয়া গেল! সুহাসিণীর হাসির আওয়াজ পর্যন্ত সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হইয়া গেল। তার কিছুক্ষণ পরে বন্ধ হইয়া গেল নীচে ऊिंगां८°ांननांौव्र ज्ञांनि । SG