পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষ হাসে কেন না থাকিলেও সহজে কথাটা অনুমান করিতে পারিত কিনা সন্দেহ। খাটের মহিলাটিকে দেখিলেই বুঝা যায় বয়স তার ত্ৰিশের অনেক ওপারে চলিয়া গিয়াছে। গায়ের রঙ পরেশের চেয়েও টুকটুকে, একটু মোটা বলিয়া বোধ হয়। রঙটা তার ফুটিয়াছে আরও বেশী। মুখখানা সুন্দর। রসময় ভাবিল, সে নিশ্চয় পরেশের দিদি। “আপনার স্ত্রী কোথায় ?” রসময়ের প্রশ্নের আসল অর্থ অনুমান করা কঠিন নয়, পরেশের মুখখানা লাল হইয়া গেল। “এই যে শুয়ে আছেন। শান্তি, ডাক্তারবাবু এসেছেন।” শান্তি চোখ মেলিয়া এতক্ষণ ডাক্তার বাবুকেই দেখিতেছিল, একটু অভ্যর্থনার হাসি হাসিয়া বলিল, “আসুন । বসতে একটা চেয়ার দাও ডাক্তারবাবুকে । রসময় বসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি হয়েছে ?” শান্তি বলিল, “বুকটা হঠাৎ কেমন ধড়ফড় করে উঠল। হঠাৎ ভয় পেলে যেমন হয়। সেই রকম। এমন ভয়ানক ভয় করতে লাগল।

  • -}؟niaTiه؟

শান্তি অনেক কিছুই বলিয়া গেল, অনেক বর্ণনা লক্ষণ, উপমা ও বিবরণ। না, তার কোনদিন হাটের ব্যারাম হয় নাই, সিড়ি দিয়া উঠিলে বুক ধড়ফড় করে না। “আমার স্বাস্থ্য খুব ভাল ডাক্তারবাবু, কেবল বিয়ের পর তাড়াতাড়ি একটু মোটা হয়ে পড়েছি। আপনি তো পাশের বাড়ীতে থাকেন, না ? জানালায় দাড়িয়ে আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে ফেলেছি আগেই।” গলির দিকের খোলা জানালাটি দিয়া রসময়ের ঘরের বন্ধ জানালাটি দেখা যাইতেছিল। মুখোমুখি জানালা, একঘরে দাড়াইয়া অন্য ঘরের প্ৰায় সবটাই নজরে পড়ে। এ বাড়ীতে আগে যারা ভাড়াটে ছিল এ ঘরটা SQD