পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমুজের স্বাদ বলিতে থাকে, ‘যাচ্ছি, কিন্তু দেখতে পাব। কিনা ভগবান জানেন । চারদিন আগে খবর পেলাম, বড় ছেলেট মীর মর। তা গাড়ী ভাড়ার দেড়টা টাকাই বা কে দেবে যে দেখতে আসব ? শেষকালে আর সইল না মশায়, ভাবলাম, যাই যাব জেলে, উপায় কি! বিনা টিকিটে গাড়ীতে চেপে বসলাম। গিয়ে যদি দেখি শেষ হয়ে গেছে-” বড় ছেলে ভোলার বছর দশেক বয়স হইয়াছে, বড় রোগা আর বড় শান্ত ছেলেটা। যাদবের মনটা খুঁত খুঁত করিতে থাকে, ছেলেটার বদলে অন্য কাউকে মর মর করিলেই ভাল হইত। কিন্তু মরণাপন্ন সন্তানের মত করুণ রস সৃষ্টি করিবার ক্ষমতা আর কার আছে ? সঙ্গীর কাছে নিজেকে দরিদ্র প্রতিপন্ন করার ইচ্ছাটাই যাদবের ছিল, নিজের জীবনে এত সব চরম দুঃখ আমদানী করিয়া ফেলিতেছে কেন সে ঠিক বুঝিয়া উঠিতে পারে না। বানাইয়া বানাইয়া লোকটিকে এসব কথা বলার কি প্রয়োজন তার ছিল ? কিন্তু থামিতে সে পারে না, সহানুভূতির সঙ্গে সঙ্গী তাকে দুটি একটী প্রশ্ন করে আর সে অনর্গল জীবনের চরম দুঃখ দারিদ্র্যের শোচনীয় কাহিনী বলিয়া যায়। কপাল, সবই মানুষের কপাল। নয়তো একজন মানুষের জীবনে কখনও এত দুৰ্ভাগ্য ভিড় করিয়া আসিয়া হাজির হয় ! এদিকে সহরে সে দুটি পয়সা উপার্জনের চেষ্টায় প্ৰাণপাত করে, আঁজলী ভরিয়া রাস্তার কলের জল খাইয়া ক্ষুধাতৃষ্ণা মেটায় আর এদিকে আত্মীয়ের আশ্রয়ে বৌ ছেলেমেয়ে তার পেট ভরিয়া খাইতে পায় না, বিনা চিকিৎসায় মরিয়া যায়। অথচ BDD BB D DD SBSS BDD SDBSBBBD DBS DBBDB BDDDD পরিজনকে সে আশ্রয় দিয়াছে। বলিতে বলিতে গভীর বিষাদে যাদবের হৃদয় ভারাক্রান্ত হইয়া উঠে, গলা ভারি হইয়া আসে। মাঝে মাঝে সে ভুলিয়াই যায়, সে যা বলিতেছে কিছুই তার সত্য محS