পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ এত বেশী সম্রান্ত মনে হইতেছিল যে, ভূমিকা শুনিয়াও যাদব কিছু বুঝিতে পারে না, সবিনয়ে বলে, “আজ্ঞে বলুন না।” লোকটি মৃদু একটু হাসে, “বলতে এমন লজ্জা বোধ হচ্ছে মশাই। আমি থাকি শেওড়াফুলিতে, একটু দরকারে আজ কলকাতা এসেছিলাম। দোকানে কয়েকটা জিনিষ। কিনতে যাচ্ছি, কোন ফাকে কখন যে কে পকেট কেটে মণিব্যাগটা সরিয়ে ফেলেছে, টেরও পাই নি।”-পাঞ্জাবীর ডানদিকের পকেটটা তুলিয়া দেখায়, সত্যই পকেটটা কঁচি দিয়া কাটা । “রিটার্ন টিকিটাটা পৰ্য্যন্ত সে ব্যাগের মধ্যে ছিল। মহা মুস্কিলে পড়েছি, কাউকে চিনি না। সহরে, কি করে যে এখন টিকিটের দামটী--” স্তম্ভিত বিস্ময়ে যাদব তার মুখের দিকে চাহিয়া থাকে, যে ভাবে জুনিয়র উকীলহঁ করিয়া শোনে বিখ্যাত আইনজীবির বক্তৃত । SRV