পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, সমুদ্রের স্বাদ মেরুদণ্ডটা হাতের লাঠিটির মত সিধা হইয়া গিয়াছে, লাঠির ডগায় ডান হাতের তালুর উপর বা হাতের তালু স্থাপন করিয়া তিনি বসিয়াছেন। মুখে কিন্তু ঔদ্ধত্যের চিহ্নও নাই, শুধু গভীর বিনয় ও অমায়িকতার ছাপ। প্ৰথম হইতে বিকাশ তার মধ্যে আজ অবিশ্বাস্ত প্ৰাণশক্তির আবির্ভাব লক্ষ্য করিয়া আসিয়াছে, সকলকে আজ তিনি জয় করিতে চান। আবার প্রেসিডেণ্ট নির্বাচিত হইবার জন্য ভদ্রলোক যেন মরিয়া DDD DDBBS BB BDB DDDB BBDD DDDS BB DBDBDBD BBB S বিকাশ জানে, কাল তার মধ্যে এই প্ৰাণশক্তির চিহ্নও খুজিয়া পাওয়া যাইবে না । কিন্তু কি আসিয়া যায়। তাতে ? সকলেই তো সমানগগনবাবুর মধ্যে তবু একটি সন্ধ্যার জন্যও অন্তত একটু জীবনের সঞ্চার হইয়াছে। সত্য কথা বলিতে কি, গগনবাবুর জন্যই বিকাশ নিজেও একটু উৎসাহ বোধ করিতেছিল, অন্য সকলের মধ্যেও তিনি যে উৎসাহের সঞ্চার করিয়াছেন, তাও সে অনুভব করিতে পারিতেছিল। এতটুকু পাড়ার সামান্য পূজা, ছোট দেখিয়া সস্তায় প্রতিমা কিনিতে হয়, একটির বেশি ঢোলে কাঠি পড়ে না, ভিক্ষা করা বিদ্যুতের আলোয় পূজা মণ্ডপ উজ্জল হয় না। এই সামান্য কয়েকজন ভদ্রলোককে লইয়া মিটি, পূজা কমিটী গঠন প্রভৃতির অভিনয় করা-কেউ ভুলিয়াও ভুলিতে পারে না যে, ব্যাপারটা ছেলেখেলার মতই তুচ্ছ বটে। গগনবাবু যেন সকলের মন হইতে এ ভাবটা এখনকার মত মুছিয়া দিয়াছেন, সকলে যেন ধীরে ধীরে উপলব্ধি করিতে আরম্ভ করিয়াছেন, পাড়ার পূজার ব্যাপারটা সত্যই বড় গুরুতর ব্যাপার । সামনের রাস্তা দিয়া দামী একটি গাড়ী আগাইয়া গিয়া পাশের বাড়ীর সামনে দাড়ায়, দুজন পুরুষ, একজন মাঝবয়সী মহিলা ও দু’টি তরুণী V9V