পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অ্যাপিম শোকে তাপে মানুষ যখন কাতর হইয়া পড়ে, তখন আর তার কাছে কি প্ৰত্যাশা করা যায় ? হরেন বলিল, “আপিস যাচ্ছে ?” নরেন বলিল, “হঁ্য ।”

  • qक त्रिोंकां जां& निकि उामांटिक ।'

নরেন একটু ভাবিল। টাকার বড় টানাটানি, মাস শেষ হইয়া আসিয়াছে। অনেকদিন হইতে দাদাকে সে টাকা দিয়া আসিতেছে, কখনো একটা, কখনো দশটা। আজ ব্যাপারটা একটু বিবেচনা করিয়া দেখা দরকার। আর কি কোনদিন হারেনের পক্ষে গা-ঝাড়া দিয়া উঠিয়া বড় চাকরী-বাকরী করা সম্ভব হইবে ? আগের মত অত বড় না হোক, মাঝারি রকমের বড় ? দু’বছরের মধ্যে যদি এত আপিম বাড়াইয়াও শোকতাপটা সামলাইয়া উঠিতে না পারিয়া থাকে, আর কি কোনদিন পরিবে ? আপিমটা হয়তো দিন দিন পরিমাণে বাড়িয়াই চলিবে। মায়া ঠিক বলিয়াছে, আপিমের নেশা বাড়াইলেই বাড়ে। ‘টাকা তো নেই দাদা। মাস কাবার হয়ে এল, আমি সামান্য মাইনে পাই-” “একেবারে নেই ? আন চারেক হবে না ?” নরেন মাথা নাড়িয়া বলিল, “না, একটি পয়সা নেই। আপিমের জন্যে তো ? আপিমটা এবার তুমি ছেড়ে দাও দাদা।” হরেন তৎক্ষণাৎ রাজী হইয়া গেল, “আচ্ছা, ছেড়ে দেব। কিন্তু হঠাৎ তো ছাড়া যায় না, এ্যাদিনের নেশা ! কারও কাছে ধার-ধোর করে অল্প একটু এনে আজ কিনে, কমিয়ে কমিয়ে কদিন বাদেই একেবারে ছেড়ে দেব। সত্যি, এ নেশােটা এবার ছেড়ে দেওয়াই উচিত। qटना किङ्, Cकमन ?' 8Ne