পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ টাকাটা পকেটে ভরিয়া লোকটি বলিল, “একটিাকা দামের একখানা টিকিট আছে, নেবেন ? ফাষ্ট প্রাইজ চল্লিশ পার্সেণ্ট, গতবার সাতায় হাজার হয়েছিল, এবার আরও বেশী হবে। মস্ত ব্যাপার!” টিকিটখানা হাতে করিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া নানাভাবে দেখিয়া নরেন বলিল, “নেব। কি, টাকাই যে নেই। একেবারে মাসকাবারে এলেন, ক’দিন আগে যদি আসতেন ! তেসরা আসবেন, নেব’খন।” লোকটি ঝাকড়া চুলে ঝাকি দিয়া বলিল, “তেসরা আসব কি মশায়, আজকে লাষ্ট ডেট। সব টিকিট সেল হয়ে গেছে, ওই একখানা রেখেছিলাম। আপনার জন্তো-কি জানেন, এতে আপনার চান্স বেশী, টিকিট লিমিটেড কি না। থার্ড প্ৰাইজও যদি পান, বিশ হাজার টাকা তো বটেই, বেশী ও পেতে পারেন ৷” আর একটি টাকা মনিব্যাগে ছিল, টাকাটি নরেন বাহির করিয়া ढिा । এদিকে কলেজে বিমলের মনটাও খুঁত খুঁত করে। হরেন যখন তাকে ডাকিয়াছিল, তার খানিক আগেই কাগজে একজন দেশ-নেতার মস্ত একটা বিবৃতি সে পড়িয়া ফেলিয়াছিল। বিবৃতিটি অবশ্য আপিম সম্পর্কে নয়, তবু সেটি পড়িয়া দেশশুদ্ধ লোকের উপর যে তীব্ৰ আক্রোশ আর যে অনির্দিষ্ট আত্মগ্লানি তাকে পীড়ন করিতেছিল, অৰ্দ্ধশায়িত জ্যেঠাকে দেখিয়া তার প্রতিক্রিয়া একটা নির্দিষ্ট উপলক্ষ পাইয়া প্ৰবল হইয়া উঠিয়াছিল, হঠাৎ-জাগা বেপরোয় উদ্ধতভাবের আর সীমা ছিল না। কলেজে পৌঁছিতে পৌঁছিতেই সে ভাবটা প্ৰায় উবিয়া গিয়াছে। এখন মনে হইতেছে, ওরকম বাহাদুরী না করিলেই বোধ হয়। ভাল হইত। কেবল সবিতাদের বাড়ীতে নয়, আরও যে 8V