পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অ্যাপিম কয়েকটি উচুস্তরের পরিবারে সে মেলামেশার সুযোগ পাইয়াছে, একটু খাতিরও পাইতেছে, তাতো কেবল সে হরেন মিত্রের ভাইপো বলিয়াই । তার জ্যোঠামশায়ের সুদিন যদি কোনদিন ফিরিয়া আসে আর জ্যোঠামশায় যদি তাকে উচুস্তরে উঠবার বিশেষ ব্যবস্থা করিয়া দেয়, তবেই তো কেবল সবিতার সম্বন্ধে আশা ভরসা পোষণ করা তার পক্ষে সম্ভব হইতে পারে। অবশ্য সবিতা যদি তার জন্য পাগল হইয়া উঠে, যদি বুঝিতে পারে যে তাকে ছাড়া বঁচিয়া থাকিয়া কোন সুখ নাই, তবে হয়তো জ্যোঠামশায় পিছনে নাই জানিয়াও এবং সে যে একদিন বড় হইবেই। হইবে তার কোন সুনিশ্চিত প্ৰমাণ সে এখন দেখাইতে না। পারিলেও, তাকেই সবিত বরণ করিবে। তবু, জ্যোঠামশায়কে চটানো বোধ হয় উচিত হয় নাই ? তিনটার সময় বিমল গেটের কাছে দাড়াইয়া রহিল। তার ক্লাশ একঘণ্টা আগেই শেষ হইয়াছে, এবার শেষ হইল সবিতার। প্রায় আধঘণ্টা পরে সবিতা আসিল, বিনা ভূমিকাতেই বলিল, “আজ তো আপনাকে মোড় পৰ্যন্ত পৌছে দিতে পারব না। আমি অন্য দিকে যাব ।” বিমল বলিল, “কোনদিকে ?” সবিতা বলিল, “এই-অন্যদিকে । মানে, আমার এক আত্মীয়ের वांज़ैी शांत ।' বিমল বলিল, “কতক্ষণ থাকবেন ?” সবিতা মৃদু হাসিয়া বলিল, “তার কি ঠিক আছে কিছু!” সবিতার গাড়ী চলিয়া গেলে বিমল ভাবিতে লাগিল, এখন কি করা যায় ? একবার সে বঁা হাতের কজিতে বাধা দামী ঘড়িটার দিকে চাহিয়া দেখিলা। হরেন তাকে একদিন ঘড়িটি কিনিয়া দিয়াছিল । 8