পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VISO তার মনের কথা এমনভাবে টের পাইয়া যায় বলিয়াই তো মানুষটাকে সে এত পছন্দ করে । আজি নিজেকে ফেলনার শ্ৰান্ত মনে হয়। মুক্তিলাভের আনন্দ শু উত্তেজনা কড়া-পড়া মনে কখন ভোতা হইয়া গিয়াছে। সাত বছরের জন্য জেলে গেলেও যেন তেমন কিছু আসিয়া যাইত না। বাধা ঠেলিয়া ঠেলিয়া গায়ের জোরে তার স্বাধীনভাবে বিচরণ, স্বাদগন্ধ বৈচিত্র্যহীন তার জীবন। জেলে গেলে যা কিছুর অভাব হয়, সে সমস্তের দাম বড় কম তার কাছে। সন্ন্যাসী শান্তি দিয়া মায়া কাটায়, SBB DDDS S DDDBBDD DDDBDBYBBS DDDS BDD BDBD LB ভুলিয়া গিয়াছে, হিংসাও তার নাই। মানুষ তাকে পশুর মত নিমমি ও হিংস্ৰ মনে করে। পশুর মতই নিষ্ঠুরভাবে সে হিংসাত্মক কাজ করে, নির্মমতার উল্লাস আর হিংসার জ্বালা এতটুকুও অনুভব করে না। ছোরা দেখাইয়া পকেট খালি করা নিছক তার পেশা, ক্ষুধা মিটানো আর হৈ চৈ করা তার শুধু বাঁচিয়া থাকা! ফুটপাতে দলে দলে যারা ফেলনার পাশ কাটাইয়া চলিয়া যায়, তার জীবনের একটি দিনের দুরন্ত উপভোগ তাদের হয়তো সাতদিন শয্যাশায়ী করিয়া রাখিবে। কিন্তু তাদের মধ্যে সব চেয়ে একঘেয়ে জীবন যার, ফেলনার কাছে এ-ফেলনার জীবনের চেয়ে তার কাছে তার জীবন অনেক বেশী রোমাঞ্চকর। ফেলনা কখনো রোমাঞ্চ অনুভব করে না । জীবন তাকে এলানো চুলের মৃদু স্পর্শ দেয় না, নয় দিয়া আঁচড় কাটে। ৷ বড় রাস্তায় জল দেওয়ার সময় গলির মুখের কাছে খানিকটা ভিজাইয়া দিয়াছিল। রোদ আর বাতাসে বড় রাস্তার জল শুকাইয়া গিয়াছে, গলির ভিতরের অংশটুকু এখনো ভিজা। চেনা মানুষের কাছ হইতে ফেলনা প্ৰথম অভিনন্দন পাইল সেইখানে। কান্দেরের ፴”6ቅ