পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vV “दांव् व्नांकि लेिख् फ्रांग नि खनष्ठांभ ? “চাই নি তো । কেন দেব ? সাত বছর শ্বশুর ঘর গেলে কে আমায় পুষত শুনি ? আমি বলে। তবু দিইছি।” ফেলনাও তাই ভাবিতেছিল । তার জগতে এ একটা অতি খাপছাড়া অনিয়ম । রাসির এ কাজের কোন মানে হয় না । প্ৰথমে সে বালা দিতে চায় নাই, তাই ছিল স্বাভাবিক। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎকে যার মৃত্যুর চেয়ে বেশী ভয় করিতে হয়, নিজের যতটুকু আছে তাকে তাই প্ৰাণপণে আঁকড়াইয়া ধরিয়া রাখিতে হয়, স্বাৰ্থত্যাগের বিলাসিতা তার জন্য নয়। একটি কঁাসার বাসনের জন্য তার কত মমতা, এক জোড়া বালা আর আংটি সে ফেলনার জন্য কি করিয়া দিল ? মোটা কঁাচের গ্লাসে রাসি চা আনিয়া দেয়, এনামোল-চটা লোহার বাটিতে দেয় মুখরোচক পেয়াজবড়া। কথা সে বেশী বলে না, টুকিটাকি কাজ করিয়া বেড়ায়। কার সাধ্য অনুমান করিবে সে খুদী হইয়াছে। শু্যামলাল ভরসা দিয়াছিল, তবু কি ভয়ে ভয়ে যে তার কাঁটা দিন কাটিয়াছে! ফেলনা তো গিয়াছে, বালা আর আণটিও বুঝি তার গেল। এখন ফেলনা ফিরিয়া আসিয়াছে, গয়না বাধা রাখিয়া তাকে বঁাচানোর জন্য কৃতজ্ঞতা বোধ করিতেছে । এবার তার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করিবে । বালা আর আংটি তো অল্পদিনের মধ্যে ফিরাইয়া আনিবেই, আর কিছু কি দিবেন। সে তাকে ? তার এতবড় স্বার্থ ত্যাগের কোন পুরস্কার ? পিাড়িটা রাসি মাটির দেয়ালে ঠেসান দিয়া রাখে, ছোড়া কাপড়খানা কুঁচকাইয়া ফেলে, গামছাট মেলিয়া দেয়, বাতি সাফ করিতে বসিয়া বলে, “কেরাসিন আনতে হবে হুপিয়সার ।” গলির ওপারে তারাপদর কারখানায় জোরালো বৈদ্যুতিক বাতি Øሊዓ