পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ ফেলনার একটু দায়িত্ব বোধের অনুভূতি জাগে। মনে হয়, কি একটা বাধ্যবাধকতার মধ্যে সে যেন আটকা পড়িয়া গিয়াছে। রাসির আংটি শুষ্ঠামলাল তার হাতে দিলে আসিবার পথে নয়ান সঁ্যাকরার দোকানে সেটা সে বিক্ৰী করিয়া দিত, কিন্তু এখন যেন আর ওসব চলিবে না। শুধু আংটি নয়, রাসির বালাটিও যেন যত শীগগির পারে আনিয়া দিতে হইবে রাসিকে । রাসি সন্দিগ্ধভাবে বলিল, “ব্যাপার কি বল দিকিনী তোমার ? আসবার সময় সেটা চালিয়ে এসে নি তো, সেই সাদাগুড়ো ?” “দুৎ । আমার ওসব নেই।” ‘ওদিকে ঘেঁষোনি, সাবধান। দুদিনে কাবু করে ফেলবে, মানুষটি থাকবে না। আর । নিজের ছায়া দেখে ডর লাগবে । কি ছিল। পরশ কি হয়েছে দেখছে তো নিজে ?” - ফেলনা তার মোতির মত সুন্দর দাত বাহির করিয়া হাসিল“একটা কিছু দে দিকি রাসি, গায়ে জড়াই। শীত শীত লাগছে।” রাত প্ৰায় ন’টার সময় রাসির ঘরে একজন আগন্তুকের আবির্ভাৰ ঘটিল। তার নাম ম’বুব। লম্বা চওড়া জবরদস্ত চেহারা। পাতলা ফুলকাটা পাঞ্জাবীর নীচে গোলাপী গেঞ্জিী দেখা যায়। মোট কজির কাছে পাঞ্জাবীর হাত টাইট করিয়া বোতাম লাগানো । মুখখানা গোল, ভাজ পড়ার উপক্রম করার মত চুটি গালের গড়নের জন্য মুখ দেখিলে ভয় করে। “কাদের খবর দিলে। চটপট আগে খবর না দিয়ে বাটা খচ্চর আছে কিনা, এতুন দেরীতে গিয়ে খবর জানালে। জানতে পেরে ছুটে এলাম।” ফেলনার উঠিয়া বসিতে কষ্ট হইতেছিল। চোখ দুটা আরও বেশী Vigo