পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ কিনা, আশা আজ চরমে উঠিয়াছিল। কিনা, নিজের সামান্য একটু ভুলের জন্য আজই সব তার নষ্ট হইয়া গেল। মোড়ে পৌছানোর আগেই বিকাশ গাড়ী থামাইয়া ফেলিল । ইচ্ছ। করিয়া কিনা কে জানে, এমন জায়গায় সে গাড়ী থামাইল, পথের ধারের বড় একটা দোকানের জোরালো আলো যেখানে ঠিক রাণীর একেবারে মুখে আসিয়া পড়ে। কিছু ভাবিয়া দেখিবার আগেই দু'হাতে রাণী মুখ ঢাকিয়া ফেলিল । “আজ তোমার কি হয়েছে বল ত ?” কথা বলিতে গিয়া রাণীর গলার স্বর ফোটে না । সহরের পথের গাড়ী ও মানুষের দৃষ্টি মিশ্ৰিত শব্দের বিরামহীন স্রোত তার দুই কাণে ঝাম ঝাম করিয়া বাজিতে থাকে। একটা অস্তৃত অনুভূতি জাগে রাণীর । দুমকায় সহরের বাহিরে মাঠের মধ্যে বিকাশের একখানা বাড়ীর কথা সে কেবল কাণে শুনিয়াছে, তবু মাঠের মধ্যে মস্ত একটা বাড়ীর বড় বড় থামওয়ালা চওড়া গাড়ী বারান্দায় ফ্রক পরা ছেলেমানুষ রাণী কেন মনের আনন্দে ডিগবাজী খায় এখন, চারিদিকে অবিশ্রাম বর্ষণের ঝমােঝম শব্দের মধ্যে ? বিকাশ একটু ভাবিয়া বলে, “তোমার শরীর ভাল নেই, আজ না হয়। ওখানে না গেলে ? চলো ফিরে যাই । কেমন ?” চোখের পলকে রাণী নিজের মুক্তির পথ দেখিতে পায়। এই BDBDD BBB BBBS S SBBBDKS SDBBBDS DDDD S DDD S S SBBDOSDDD আলোর মধ্যে গিয়া না দাড়াইলেই তো তার চোখ দেখিবার সুযোগ বিকাশ পাইবে না। মুখ হইতে হাত সরাইয়া, খোপা ঠিক করিবার ছলে মুখে বাহুর ছায়া ফেলিয়া, রাণী বলে, “তাই চলুন। সত্যি। আজ শরীরটা ভাল নেই।” ԳS