পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दकाख्छ। গ্লাস জল খাইয়া পরে কষ্ট দেওয়ার বদলে এখন চলিয়া গেলেই পারে বিকাশ ! যন্ত্রের মত রাণী আগাইয়া যায়। বাহিরের ঘর অন্ধকার, সেইরকম জানাল দিয়া মৃদু একটু আলো আসিতেছে। “অন্ধকারে বসতে হবে কিন্তু’-বলিতে বলিতে চিরদিনের অভ্যাসের বশে হাত বাড়াইয়া রাণী দেয়ালের গায়ে সুইচুটা টিপিয়া দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘর আলো হইয়া যায়-ইতিমধ্যে নতুন বালব লাগানো হইয়া গিয়াছে। বিকাশের কাছে আর তার আশা করার কিছু নাই, তার কাজলহীন চোখ এখন আর বিকাশকে দেখাইতে ভয় পাওয়ারও তার কোন কারণ নাই, তবু রাণী চমকাইয়া উঠিয়া বিস্ফারিত চোখে বিকাশের দিকে চাহিয়া থাকে। যদি বা কোন আশা ছিল, রাণীর অজ্ঞাত কোন কারণে আজ কিছু না বলিয়া বিকাশ যদি পরে বলিবার কথা ভাবিয়া রাখিয়া থাকে, এতক্ষণে সব আশা চুকিয়া গেল। সত্যই সে বড় বোকা । রাণীর মনে হয়, বিকাশের সামনেই সে বুঝি কঁাদিয়া ফেলিবে। তাড়াতাড়ি ঘুরিয়া দাড়াইয়া জল আনিবার জন্য সে ভিতরে মাইতেছে, বিকাশ খপ করিয়া তার হাত ধরিয়া ফেলে। “বোসো, তোমার সঙ্গে আমার কথা আছে।” ‘জলটা আনি ?” রাণীর মাথা ঘুরিতে থাকে। তাকেই কি কৈফিয়ৎ দিতে হইবে কেন আজ তার চোখ অন্যদিনের মত নয়, ব্যাখ্যা করিয়া বুঝাইয়া দিতে হইবে চোখ কেন আজ তার এমন বিশ্ৰী দেখাইতেছে ? ‘জল পরে এনে । আগে আমার কথা শুনে নাও ।” কিছু বলিবার নাই, কিছু করিবারও নাই। কাঠের টেবিলটিতে Գ@