পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আততায়ী আসে কৃত্তিবাসের কাণ চোখে, কিন্তু মানুষের মমতা হয় দিবাকরের মসৃণ কোমল মুখে ঘন বিষাদের ছাপ আলি বড় বড় চোখের অসহায় ভীরু দৃষ্টি দেখিয়া । দিবাকর বলে, “আয় ।” অ্যামবাগানোিব ছায়ায় বসিয়া কৃত্তিবাস অনর্গল কথা বলে আর দিবাকর চুপ করিয়া শুনিয়া যায়। শেষে কৃত্তিবাস বলে, ‘আগুন দিয়ে পালাবি বলেছিলি যে ?” দিবাকর সায় দিয়া বলে, “বলে তো ছিলাম, কোথায় পালাবি ?” ‘কলকাতায় পিসীর বাড়ীতে গেলে হয় না ?” ‘ठाके 5' ।” পরদিন কৃত্তিবাস তার পিসীর কাছে পলাইয়া গেল । সঙ্গে গোল দিবাকর । পিসী সাগ্রহে অভ্যর্থনা করিল, “আয় বাবা আয় । ঘরে কি আগুন দিতে আছে বাবা ? কি সৰ্ব্বনাশটা করলি বল দিকি ! কত উচুতে উঠেছিল রে আগুন ? কতকাল আগুন দেখিনি, সেই ছেলেবেল একবাদ দেখেছিলাম বিয়ের আগে, কান্তিদের বড় ঘরটায় লেগেছিল । আমি তো ভয়েই মারি, আমাদের বাড়ীতে যদি লাগে । তা ভাল করে। জলতে না জবলতে সবাই মিলে আ গুন নিভিয়ে দিল । কিন্তু কি চেহারাটাই তোর হয়েছে বাসু, দেখলে যে ভয় করে রে । দাদা সত্যি মানুষ নয়, এমন করে নিজের ছেলেকে কেউ পোড়াতে পারে । রাগলে দাদা যেন চণ্ডাল হয়ে যায়।” কৃত্তিবাসকে কাছে টানিয়া একবার শুধু তার মাথায় হাত বুলাইয়৷ পোড়া গালের শুকনো ক্ষত আঙ্গুলো স্পর্শ করিয়া শিহরিতে শিহরিতে পিসী বলিল, “খবর না দিয়ে এলি, পালিয়ে এসেছিস বুঝি ? দাদাকে তো একটা তার করে দিতে try