পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ পরে যদিও পিসীর চিতায় আগুন দিবার প্রয়োজন উপস্থিত হইল সে কাজটা করিল কৃত্তিবাস, তার মেসের বাসা হইতে আসিয়া । দেশ হইতে ফিরিয়া আসিলে কৃত্তিবাসকে পিসী বাড়ীতে উঠিতে দেয় নাই । কয়েকদিনের জন্য বাড়ী গিয়া কৃত্তিবাস ফিরিতে বড় দেরী করিতে ছিল। একদিন ধনদাসের একখানা চিঠি আসিল, সে অবিলম্বে ছেলের বিবাহের ব্যবস্থা করিয়াছে, পিসী যেন অবিলম্বে যায়। চিঠি পড়িয়াই পিসী তে রাগিয়া আণ্ডন, পিসীকে এমনভাবে রাগিতে দিবাকর আর কখনো দেখে নাই । “অ্যাতে বিচ্ছর খাওয়ালাম পড়ালাম মানুষ করলাম ছেলের মত, বিয়ের সব ঠিক করে আমায় শুধু নেমস্তন্ন ! কুটুমের মত নেমস্তন্ন । একবার জানানো দরকার মনে করল না কোথায় বিয়ে কি বৃত্তান্ত, একবার জিজ্ঞেস পৰ্য্যন্ত করলে না। আমাকে ৷” কৃত্তিবাসের বিশেষ দোষ ছিল না। দিবাকর অবশ্য তাকে বিবাহ করিতে বিশেষতঃ গােঁয়ে একটা মুর্থ মেয়েকে বিবাহ করিতে আলোচনা প্রসঙ্গে অনেকবার • বারণ করিয়াছিল, কিন্তু এদিকে আবার বাড়ী যাওয়ার সময় বলিয়াও দিয়াছিল, ব্যাপকে যেন সে না চটায়। দিবাকর এখন কাছেও ছিল না ষে জিজ্ঞাসা করিয়া একটু মনের জোর ধার করিয়া সুমাত্মরক্ষা করিবে । দুমাস পরে সে ফিরিয়া আসিল, কিন্তু পিসীর বাড়ীতে উঠিল না। পিসী আগেই অতি স্পষ্ট ভাষায় একখানা পত্ৰ লিখিয়া জানাইয়া দিয়াছিল তার বাড়ীতে কৃত্তিবাসের আর ঠাই হবে না। দিবাকর বন্ধুর বিবাহে যায় নাই, পিসীর অনুমতি ছিল না । রুক্তিবাস কলিকাতায় ফিরিয়া আসিয়াছে শুনিয়া পিসী দিবাকরকে বারণ و سو