পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ তবু সেই যেন সব। ব্যবস্থা করিতেছে সে, হুকুম দিতেছে সে, দোষ ধরিতেছে সে, চাকর ঠাকুরকে ধমক দিতেছে সে। সে যেন এ বাড়ীর আশ্রিত নয, তার বাড়ীতেই যেন সঙ্গীক বেড়াইতে আসিয়াছে ऊद्र वधूं । Y রাত্রে মহামায়া স্বামীকে জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি ওঁকে এত করা কেন ?” কৃত্তিবাস অবাক হইয়া বলিল, “ভয় কবি ? ভয় আবার করলাম কখন ?” মহামায়া হাসিয়া ফেলিল, “মানুষটার ভয়ে সব সময় কেঁচো হয়ে আছে, আর বলছি ভয় করলে কখন ?” তারপর হাসি বন্ধ করিয়া গম্ভীর হইয়া বলিল, “যাই বল, তোমার ব্যাপারট্যাপার কিছু বুঝিতে পারছি না বাপু । তোমার বাড়ীঘর, খেতে পরতে দিচ্ছ তুমি, তোমার টাকা নিয়ে বাবুয়ানা করে বেড়াচ্ছে, আর ওর ভয়ে তুমি নিজে যেন চোর হয়ে আছ তোমার নিজের বাড়ীতে ।” শুনিয়া কৃত্তিবাস চোখ বড় করিয়া খানিক্ষণ তার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল, তারপর ভয়ে 'ভয়ে বলিল, “কি যে বল তুমি । ভয় করব কেন, ছেলেবেলার বন্ধুতো, মনে কষ্ট লাগবে বলে একটু সামলে সুমলে চলি ।” মহামায়া বলিল, “ভদ্রলোককে বলে দেওনা এবার, তোমার ঘাড না ভেঙ্গে কোথাও থাকুন গিয়ে ?” কৃত্তিবাস বিবৰ্ণ মুখে বলিল, “ছিঃ, তাই কি বলা যায়।” আরেকদিন বলবে ভাবিয়া, প্রথমদিন কথাটা তুলিয়াই বেশী কিছু বলা ভাল নয়। ভাবিয়া, তখনকার মত মহামায়া চুপ করিরা গেল! চেষ্টা করিয়া কৃত্তিবাসের বিবৰ্ণ মুখে মুগ্ধ মনের ভোতা জ্যোতিও DBB DDD SS SDD BDBBDBBD KBDSDB S S SDBBB K DDS SBBD s ఆ