পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ তারপর একদিন দিবাকর বলিল, “তোর চোখটা যে বড় বেশী লাল দেখাচ্ছে বাসু ?” কৃত্তিবাস বলিল, “চোখ তো আমার মাঝে মাঝে লাল হয়। আর জবালা করে । এ চোখটার জন্য কোন নার্ভাস রিয়্যাকসন তন্ত্র Cवांक्ष श् ।' দিবাকর বলিল, “না, সে রকম নয় । আয়তো দেখি ।” অনেকক্ষণ দিবাকর তার চোখটি পরীক্ষা করিল, পিসীর হাট পরীক্ষা করার চেয়ে অনেক বেশী সময় আর মনোযোগ দিয়া । তারপর মুখখানা সেদিনের চেয়ে আরও বেশী গম্ভীর করিয়া বলিল, “তুই না ডাক্তারি পাশ করেছিস ? তুই না ডাক্তার !” কৃত্তিবাস সািভয়ে বলিল, “কি হয়েছে ?” দিবাকর আহত বিস্ময়ের সঙ্গে বলিল, “এখনো বুঝতে পারছিস न ?” কৃত্তিবাস লজ্জা পাইয়া মাথা নীচু করিয়া বলিল, “পারছি। আমারও একটু একটু যেন সন্দেহ হচ্ছিল।’ দিবাকর রাগ করিয়া বলিল, “সন্দেহ হচ্ছিল তো বললে না কেন ? এত যে দেরী হয়ে গেল এখন-যাকগে! কি আবি হবে তোকে এসব বলে ।” কৃত্তিবাস কোনদিন দিবাকরকে রাগ করিতে দেখে নাই । সে একেবারে উদভ্ৰান্ত হইয়া গেল । দিবাকর অনেকক্ষণ ভাবিয়া বলিল, “কলেজের হাসপাতালে। যাবি ?” কৃত্তিবাস কাতরভাবে বলিল, “ধেৎ, তুই থাকতে কলেজের হাসপাতালে কোন যাব ?” S8