পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিল্লী-শিবির। ইউরোপে সকলের ধারণা যে বস্ত্ৰাবাস যুদ্ধবিগ্ৰহ অথবা ভ্ৰমণব্যাপারেই ব্যবহৃত হইয়া থাকে। ভারতে কিন্তু সেরূপ নহে। এই দেশে যুদ্ধ ভিন্নও শিবিরের যথেষ্ট ব্যবহার আছে। কোন বৃহৎ নগরে অকস্মাৎ যদি অনেক লোকের সমাগম হয়, তবে চিরকালই এদেশে তাবু ব্যবহৃত হয়। ইংরেজ রাজপুরুষগণ র্তাহাদের রাজকীয় কাৰ্যোপলক্ষে ভারতের নানা দুৰ্গম স্থানে গমনাগমন করেন, এই अछ शिविद्रदान ऊँiशब्रां ५6ीकांख्ठ अङरठ । সম্রাটু দিল্লীতে দরবার করিতে ইচ্ছা করিলে অসংখ্য শিবির। নিৰ্ম্মাণের প্রয়োজন হইয়া পড়িল। দিল্লীতে এত অল্প স্থান ছিল, যে তাঁবু না খাটাইলে এরূপ জনমণ্ডলীর শতাংশের একাংশেরও স্থান সংকুলান হইত না। সুতরাং ভারতে চিরকালগত প্ৰথানুযায়ী সেই ব্যবস্থাই হইল । ১৮৭৭ এবং ১৯০৩ সনে দিল্লীতে খুব জনতা হইয়াছিল, সন্দেহ নাই। কিন্তু ১৯১১ সনের মত এরূপ লোকসমাগম কোন সময়েই হয় নাই। রেলগাড়ীযোগে এবং অন্যান্য রাস্তা দিয়া অনবরত এত লোক আসিতে লাগিল যে তাহদের সংখ্যার ঠিক রাখা অসম্ভব। মহানগরী দিল্লীর জনসংখ্যা সাধারণতঃ দুই লক্ষ তেত্ৰিশ হাজার। দরবারের সময় এখানে বোধ হয় দশ লক্ষের বেশী লোক হইয়াছিল। লোকগণনায় দেখা গিয়াছিল তাঁবুগুলির ভিতরেই প্ৰায় আড়াই লক্ষ লোক অবস্থান করিতেছিল, ইহাদের মধ্যে মাত্ৰ একুশ সহস্ৰ ইউরোপীয়, (তন্মধ্যে ১৬,৫০০ ব্রিটিশ সৈন্য ছিল ) । এত অধিকসংখ্যক ব্যক্তির বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সরকার বাহাদুর ভিন্ন অন্য কাহারও দ্বারা সম্ভবপর নহে। এই জন্য বিশেষ সাবধানতাসহকারে বন্দোবস্ত করার প্রয়োজন হইয়াছিল। সত্য বটে, পূর্ব পূর্ব সময়েও উৎসবাদি হইয়াছে। কিন্তু তখনকার কথা স্বতন্ত্র। সেইসময়ে প্ৰাদেশিক শাসনকৰ্ত্তাগণের বাসস্থান বেশ ভাল জায়গায় পরস্পরের সন্নিকটে নিৰ্ম্মিত হইত। আর দেশীয় রাজগণ ও সৈন্যগণ যেখানে কিছু স্থান পাইতেন, সেইখানেই থাকিবার স্থান করিয়া লইতেন। সে দিন আর নাই। সম্রাটু স্পষ্ট করিয়া আদেশ করিয়াছিলেন যে দেশীয় নৃপতিবর্গ শাসনকৰ্ত্তাগণ এবং শিবিরের ব্যবস্থা ।