পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

à ob" ভারত-পরিদর্শন উদয়পুরের মহারাণার বংশই রাজস্থানে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করি।-- য়াছে। মহারাজাধিরাজ সার ফতে সিং বাহাদুর নিজের বংশকে রামের জ্যেষ্ঠপুত্ৰ কুশবংশপ্রভাব বলিয়া মনে করেন । সেই জন্য হিন্দুজাতির নিকট তাহার বংশ অতিশয় সম্মানাহঁ। শিশোদীয় নামক এই বংশের গৌরবগাথা এখনও ঘরে ঘরে গীত হইয়া থাকে। চিতোরের ভীমদুৰ্গ শিশোদীয়কুলের বীরত্বকাহিনী বক্ষে ধারণ করিয়া অতীতের সাক্ষীরূপে দণ্ডায়মান আছে। শিশোদীয়গণই মন্তক উন্নত করিয়া সগৰ্বে মুসলমানকুলে কন্যাদানে অস্বীকৃত হইয়াছিলেন। মহারাজের শরীর অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তিনি সামন্তগণসহ সম্রাট্রসমীপে উপস্থিত ছিলেন। দুঙ্গারপুরের মহারাজ, সাপুরের রাজাধিরাজ, মধ্যভারতের অন্তৰ্গত ধরমপুরের রাজা, বারিয়াণির রাজা, ইহঁরা সকলেই উদয়পুরের রাজবংশের জ্ঞাতিগোষ্ঠী। অতঃপর কাচছাবহগণের নামোল্লেখ করা যাইতে পারে। ইহঁরা প্ৰাচীনকালে মধ্যভারতের অন্তগত গোয়ালিয়রের এবং নরবারে রাজত্ব করিতেন। দ্বাদশ শতাব্দীতে পরিহরগণকর্তৃক তড়িত হইয়া কচ্ছাবহগণ বৰ্ত্তমান জয়পুররাজ্যে বসতি স্থাপন করেন। এই বংশের দুইজন রাজপুত্ৰ এক সময়ে সম্রাটু আকবরের জীবনরক্ষা করিয়াছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীতে এই বংশের তৎকালীন সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক জয়সিংহ মহারাজ জন্মগ্রহণ করেন । তিনি জ্যোতিষ শাস্ত্রের উন্নতিসাধনের জন্য ভারতের বিভিন্ন স্থানে মানমন্দির স্থাপন করিয়াছিলেন। জয়পুরের বর্তমান মহারাজ মেজর জেনারেল মাধো সিংহ বাহাদুর পাশ্চাত্যসভ্যতার অনুরাগী হওয়া সত্বেও হিন্দুধৰ্ম্মে বিশেষ আস্থাবান। খাঁটি হিন্দুর পক্ষে সমুদ্রযাত্ৰা নিষিদ্ধ হইলেও ১৯০২ সনে মৃত সম্রাটু সপ্তম। এডোয়ার্ডের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে তিনি বিলাত গিয়াছিলেন। আয়তনে জয়পুর। বৰ্ত্তমান ডেনমার্কের সমান হইবে। আধুনিক সময়ে জয়পুরে কৃষির যথেষ্ট উন্নতি হইতেছে। আলোয়ার এবং লাবার রাজগণ এই বংশেরই অন্যতম শাখা । আলোয়ারের সৈন্যগণ সম্রাটের পক্ষে ১৯০০ সনে চীনদেশে যুদ্ধে গমন করিয়াছিল। ময়ূরভঞ্জের মহারাজও কচ্ছা বহুবংশোৎপন্ন বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকেন । মাড়বারের রাঠোরগণও বীরত্ব এবং খ্যাতিতে মাতৃভূমির মুখ উজ্জ্বল করিয়াছেন । মোগলসেনার অধিনায়করূপে মাড়বাররাজগণ যথেষ্ট রণপাণ্ডিত্য প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন । রাজপুতনার বিকানীর, কিষণগড় এবং