পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8& ভারত-পরিদর্শন । ইংলণ্ড হইতে অসংখ্য পুতুল আমদানি করিয়া বিলাইয়াছিলেন। আমোদ আহলাদ কোথায় না হইয়াছে ? মধ্যপ্ৰদেশ, পূর্ববঙ্গ, আসাম, উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্ৰদেশ, এমন কি পারস্যোপসাগর। পৰ্য্যন্ত আনন্দধ্বনি শ্রুত হইয়াছে। সম্রাটের ইচ্ছানুসারে সমগ্ৰ ভারতে প্ৰায় ১২ হাজার কয়েদী কারামুক্ত হইয়াছিল। প্ৰজাবৰ্গ যথাযথারূপে রাজ-অনুগ্রহ-লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছিলেন। ভারতবাসী কেবল ক্ষণিক আমোদ"মী" প্রমােদে সমস্ত অর্থ ব্যয় করেন নাই। র্তাহারা দাতব্য চিকিৎসালয়, স্কুল, লাইব্রেরী প্ৰভৃতি স্থায়ী দেশহিতকর কাৰ্য্যে অর্থব্যয় করিয়া সম্রাটের ভারত গমন চিরস্মরণীয় করিতে চেষ্টা পাইয়াছেন। শুধু সাক্ষাৎসম্বন্ধে সরকারের অধীন ব্রিটিশশাসিত প্ৰদেশগুলিতেই এই উৎসব সমারোহের সহিত সম্পাদিত হয় নাই। দেশীয় নৃপতিবৃন্দের রাজ্যেও ধূমধামের চূড়ান্ত হইয়াছিল। হাইদ্রাবাদে দরবারদিবসে একটি দরবার ও সৈন্যপ্রদর্শনী হইয়াছিল। মহীশূরে তিন সহস্ৰ ধৰ্ম্মমন্দিরে ও মসজিদে সম্রাটুদম্পতীর মঙ্গলকামনায় বিশেষ প্রার্থনা হইয়াছিল। লাইব্রেরী স্থাপন, দরিদ্র ভোজন প্রভৃতি সৎকাৰ্য্য এত হইয়াছিল যে তাহার ইয়ত্ত নাই। সর্বস্থানেই রাজভক্তির চিহ্ন স্পষ্ট প্ৰতীয়মান হইয়াছিল। কাশ্মীর, বরদা, গোয়ালিওর, ইন্দোর, ভূপাল, রেওয়া, উদয়পুর, জয়পুর, বিকানীর এবং যোধপুর প্রভৃতি সকল রাজ্যেই এমন কি সান দেশে পৰ্যন্ত যথেষ্ট আনন্দ, আড়ম্বর ও রাজভক্তি দেখা গিয়াছিল। উল্লিখিত প্ৰত্যেক দেশেই প্ৰজাবগমধ্যে বিবিধ প্ৰকার অনুগ্ৰহ প্ৰদৰ্শিত হইয়াছিল। উদয়পুরের মহারাণা স্বীয় প্ৰজাদিগের মধ্যে ঋণদান বাবদ প্ৰাপ্য দুই লক্ষ টাকা মাপ দিয়াছিলেন । জয়পুররাজ প্ৰায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা খাজনা মাপ করিয়াছিলেন। কাশ্মীরের রাজা এই উৎসব স্মরণীয় করিবার জন্য স্বীয় প্রজাসাধারণাকে স্বায়ত্ত শাসন দান করিয়াছিলেন । রাজগড়, জাওরা, পাতিয়ালা এবং বিন্দ প্রভৃতির প্রদেশাধিপগণ এই উপলক্ষে নানা দেশহিতকর কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। উল্লিখিতরূপে সমগ্ৰ ভারতবর্ষ ব্যাপিয়া আনন্দোৎসবের চূড়ান্ত হইয়াছিল। ১৯০৩ সনেও ধূমধাম হইয়াছিল, তবে এতটা নয় । সম্রাটু আসিয়াছিলেন বলিয়াই এবার এতটা অধিক সমারোহ হইল। যদিও অতি