পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVT ভারত-পরিদশন । কাশ্মীর, নাভা, পাতিয়ালা এবং রামপুরের ইম্পিরিয়াল সার্বিস পদাতিকগণ সম্রাটের সম্মুখ দিয়া যাইবার সময় উচ্চৈঃস্বরে জয়ধ্বনি করিয়া যাইতে व्नांशिवा । t ইহারা চলিয়া গেলে রাজকীয় অশ্বারোহী গোলন্দাজ সেনাদল এবং অপরাপর অশ্বারোহী সৈন্যসমূহ পূর্ণবেগে ঘোড়া ছুটাইয়া সম্রাটের সম্মুখ দিয়া চলিয়া গেল। পদাতিক সেনাগণ রাজকীয় পতাকা-সম্মুখে সামরিক প্ৰথা অবলম্বনপূর্বক দণ্ডায়মান রহিল । অতঃপর নানাপ্রকার সামরিক কৌশল প্ৰদশনের পর সৈন্যগণ সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীর নামে অতি উচ্চৈঃস্বরে জয়ধ্বনি করিল। রাজসম্মানজ্ঞাপক ১০১টি তুৰ্য্যধ্বনি হইল । ইহার অব্যবহিত পরে সম্রাটু দম্পতী প্ৰদৰ্শনীক্ষেত্র পরিত্যাগ করিলেন। এই ব্যাপারের শৃঙ্খলা ও সমাধান উৎকৃষ্টরূপে হইয়াছিল। সাম্রােজ্যরক্ষক সৈন্যদল যখন সম্রাটের সকাশে সামরিক পদ্ধতিতে অভিবাদন পূর্বক চলিয়া গেল, তখন দশকমণ্ডলীর কৌতুহলের অবধি রহিল না। এই সৈন্যসমূহ অনেক সময়ে স্বীয় স্বীয় দেশাধিপকে অগ্ৰবৰ্ত্তী করিয়া চলিয়াছিল। গোয়ালিয়র, বিকানির, যোধপুর, পাতিয়ালা ও ভরতপুরের রাজার স্বয়ং তঁহাদের স্বীয় স্বীয় দলের অগ্ৰে গমন করিতেছিলেন। একটি দৃশ্য সর্বাপেক্ষা কৌতুহলপ্ৰদ হইয়াছিল। বহারমপুরের সপ্তমবর্ষবয়স্ক রাজা উস্ট্রপৃষ্ঠে অতিগম্ভীরভাবে সমাসীন হইয়া সম্রাটুকে অভিবাদন করিয়াছিলেন ; সেই দৃশ্য দশন দশকমণ্ডলী ঘন ঘন করতালিম্বারা মনের আনন্দ বিজ্ঞাপিত করিয়াছিলেন । ১৩ই ডিসেম্বর বেলা ৮টার সময় প্ৰধান সেনাপতি এবং কতিপয় অনুচরসহ সম্রাটু পদাতিক সেনাগণের এবং নৌসেনাদলের শিবিরসমূহ পরিদর্শনে বহির্গত হইয়াছিলেন। দুঃখের বিষয় সময়ের অল্পতাবশতঃ তিনি অশ্বারোহী সেনাগণের শিবির দেখিতে পারেন নাই । “নীল পোষাক।” পরিহিত এবং সেই নামে অভিহিত নৌসেনাদল সম্রাটের ভারভাগমন-উপলক্ষে অতি গুরুতর দায়িত্বপূর্ণ কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিল, কারণ সম্রাটুদম্পতীর ভারতে নির্বিপ্নে যাতায়াতের ভার তাহদের - উপর পড়িয়াছিল। এতদ্ভিন্ন বোম্বাই এবং দিল্লীতেও তাহদের কাজের অবধি ছিল না । ভারতের এতটা অভ্যন্তরে তাহারা কোন কালে আসে নাই । “মেদিন” এবং অন্যান্য যুদ্ধ জাহাজ হইতে একশত জন “নীল পোষাকা ।