পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> R ভারত-পরিদর্শন । অনুভূত হইল যে কোম্পানীর শাসনকালে ভারতবর্ষ যেখানে অবস্থিত ছিল এখন তাহা হইতে বহুদূরে অগ্রসর হইয়াছে; ইহার জনসংখ্যা বাড়িয়াছে, এই দেশ নবশিক্ষায় জাগ্রত হইয়াছে, পাশ্চাত্য দেশ-সমূহের সহিত ইহার ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পাইয়াছে ; ইহার রাজনৈতিক আশাভরসা। নূতন রূপ হইয়াছে এবং রাজসিংহাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে আবদ্ধ হইয়া এইদেশ সর্বাপেক্ষা বেশী লাভবান হইয়াছে। সম্রাট এডোয়ার্ড বলিয়াছিলেন, “হয় তা বা কাহারও এরূপ মনে হইতে পারে যে, কোন কোন দিকে এখনও তাদৃশ ক্ষিপ্ৰগতিতে উন্নতির প্রবাহ লক্ষিত হইতেছে না। কিন্তু ইহা নিশ্চিত যে, ইংরেজ শাসনে ভারতের বহুধা-বিভক্ত সমাজ, এবং ত্রিশকোটী লোকের ঐক্য ও মিলন কতকটা ধীর ভাবে হইলেও নিশ্চিত রূপে সম্পন্ন হইতেছে।” কিছু পূর্বে ইংরেজদিগের চেষ্টা পুরাতন আদর্শের উন্নতি-কল্পেই অধিকতর নিবন্ধ ছিল। নূতন সভ্যতার দিকটা তখনও উন্মুক্ত হয় নাই। কৰ্ম্মের ও ন্যায়-অন্যায়ের নূতন আদর্শ সংস্থাপন, অশিক্ষিত জনসাধারণকে শিক্ষার আলোকে আনয়ন করিবার চেষ্টা, সীমান্ত প্রদেশগুলি রক্ষা করা, ভারতের আভ্যন্তরীণ শান্তিস্থাপন এবং ইংরেজ রাজ্যের প্রজাহিতসাধনের অক্লান্ত চেষ্টা এই বহুবিধ ব্যাপারের মধ্যে, অল্প সংখ্যক শিক্ষিত লোকের মনে ভারতবর্ষের ভাবী নবজীবনের আশাভরসা ফুটিয়া উঠিতেছিল লর্ড কার্জনের দরবারের সময় ভারতবর্ষ, আপনার এই অভিনব রূপ প্ৰথম। দেখিবার অবকাশ পাইয়াছিল—স্বীয় জীবনে কি মহাপরিবর্তন ঘটিয়াছে, তাহার কতকটা আভাষ পাইয়াছিল। যুবরাজের ভারতভ্ৰমণ উপলক্ষে ভারতবর্ষের এ সম্বন্ধে ধারণা পূর্ণরূপে বিকাশ প্রাপ্ত হইল। যুবরাজ এইদেশের সর্বশ্রেণীর সঙ্গে মিশিয়া তাহদের মনোগত ভাব অবগত হইয়াছিলেন, তঁহার মুখে সমস্ত বিবরণ অবগত হইয়া, ভারতবর্ষ ঐক্যের পথে কতটা অগ্রসর হুইয়াছে এবং উন্নতির কি আদর্শ অনুসরণ করিতেছে তাহা সম্রাটু সম্যক উপলব্ধি করিলেন। ১৯০৮ খৃঃ অব্দের নবেম্বর মাসে সম্রাটু, তদীয় প্রতিনিধি লর্ড মিণ্টোর দ্বারা, যোধপুরে, তাহার শুভ উদ্দেশ্য জনসাধারণের নিকট ব্যক্ত করিয়াছিলেন। এই ঘোষণায় তিনি বিগত পঞ্চাশবর্ষের ভারতীয় ইতিহাস পৰ্য্যালোচনা করিয়া এই দেশ যাহাতে শাসন সম্বন্ধে অধিকতর ক্ষমতা লাভ করে তাহারই ব্যবস্থা করিতে কৃতসংকল্প হইয়াছিলেন। তিনি এতৎ, সম্বন্ধে বলিয়াছিলেন