পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ybላbዖ ভারত-পরিদর্শন । এই উপলক্ষে সকলেই মোটরযানে ভ্ৰমণ করিয়াছিলেন। মহারাজকে মোটরে চড়িতে দেখিয়া প্ৰজাগণ আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়াছিল। কারণ তিনি উক্ত বৈজ্ঞানিক নবযান ইহার পূর্কে কখনও ব্যবহার করেন নাই। সন্ধ্যাকালে রেসিডেন্সীতে ভোজের আয়োজন হয় । অতঃপর নাগাদের নৃত্য দেখিয়া সম্রাজ্ঞী তৎপরদিন জয়পুর ত্যাগ করেন। সম্রাজ্ঞী এই রাজ্য পরিভ্রমণসময় একবার গোযান আরোহণ পূর্বক এই শকট-শয্যার অভূতপূর্বঅভিজ্ঞতা সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। জয়পুর হইতে তিনি আজমীর-অভিমুখে রওণা হইলেন। জয়পুরে অল্পস্থায়ী প্ৰবাসোপলক্ষে সম্রাজ্ঞী তথাকার সাম্রাজ্যসহায় সেনাদল পরিদর্শন করিয়াছিলেন ; রায়বাহাদুর ধনপৎ রায় ইহাদের নেতা। চিত্রল অভিযানের সময় সংবাদপ্রাপ্তির ২৫ ঘণ্টার মধ্যে ইহারা যুদ্ধক্ষেত্রে যাইবার জন্য প্ৰস্তুত হইয়াছিল। আজমীর একটি ক্ষুদ্র ব্রিটিশ প্রদেশের প্রধান নগর। এই নগর রাজপুতানার ঠিক মধ্যস্থলে অবস্থিত। রেলগাড়ী আজমীর ষ্টেশনে থামিলে এজেণ্ট স্যার ইলিয়ট কলভিন মহোদয় সস্ত্রীক সম্রাজ্ঞীকে অভ্যর্থনা করিলেন । তিনি অন্যান্য রাজকৰ্ম্মচারীদিগকে রাজ্ঞীর সহিত পরিচিত করিয়া দিলেন। সৈন্যদল দলবদ্ধ হইয়া পূর্ব হইতেই প্ৰস্তুত ছিল। সম্রাজ্ঞী পৌছিলেই তাহারা তঁহাকে সামরিক নিয়মানুসারে সম্বৰ্দ্ধনা করিল। ষ্টেশন ত্যাগ করিয়া সম্রাজ্ঞী মেয়ো কলেজ অভিমুখে প্ৰস্থান করেন। এই কলেজটি ১৮৭৭ সনে স্থাপিত হয়। মেয়ো কলেজ রাজকুমার-কলেজসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। যাহাতে রাজকুমারেরা পাশ্চাত্য বিদ্যায় যথোচিত পারদর্শী হইয়া ভবিষ্যতে প্ৰজাপুঞ্জের সুখশান্তিবিধান করিতে পারেন, এই শুভাকাঙক্ষায় মেয়ে কলেজটি স্থাপিত হইয়াছে। রাজকুমারগণের বাসের ব্যবস্থা অতি সুন্দর। প্ৰত্যেক রাজ্য অথবা প্ৰত্যেক রাজ্যসমষ্টির জন্য স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র বাড়ীর ব্যবস্থা অতি মনোরম এবং বিচিত্র। প্ৰত্যেক বাড়ীই স্ব স্ব দেশের প্ৰথায় নিৰ্ম্মিত ও সক্তিজত হওয়াতে তাহদের দেশের বিশেষত্বব্যঞ্জক হইয়াছে। সম্রাজ্ঞী কলেজে উপস্থিত হইলেই অধ্যক্ষ মিঃ সি, ডবলিউ ওয়েলিংটন তাহার সমুচিত অভ্যর্থনা করেন । এ সময়ে ছাত্ৰগণ (সংখ্যা ২০০ ) এবং ভারতীয় অধ্যাপকবৃন্দ সিড়ির দুই ধারে বিচিত্ৰবর্ণের শিরস্ত্রাণ ও পরিচ্ছদে শোভিত হইয়া দাড়াইয়াছিল । সমাজত্নী ‘হলে’ প্ৰবেশ করিয়া अछिभिcद्म यां31 ।