পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిన বাঙ্গালা সাহিত্যের আদিযুগ ও পরযুগ এ জন্ত ডাকের ও খনার বচন হইতে স্বরু করিয়া, শূন্তপুরাণ এমন কি রামেশ্বরের শিবায়ণ পৰ্য্যন্ত সকল কাব্যেই কৃষি সম্বন্ধে বিস্তর বিবরণ পাওয়া যায় ; সে গুলি একরূপ সারতত্ত্ব। বাঙ্গলার আবহাওয়ায় কোন সময় কিরূপ ফসল হয়, বাঙ্গলার ক্ষেত চষিয়া চাষার যে কি সোণার ফসল স্বষ্টি করিত, ধান চালের যে কত ভিন্ন ভিন্ন নাম ছিল ! সেগুলি পড়িলে জানিতে পারিবে বাঙ্গালী জাতি সে কালে যা খাইত—এখন তা চোখেও দেখিতে পায় না । সে “মহীপাল” ধান কই— যাহার সুগন্ধিতে মনে হইত বাগানে যুথিজাতি ফুটিয়াছে ? সে “গোপাল-ভোগ” “সোনার ছড়া”এখন আর তেমন হয় না,—যার সরু সরু চা’ল – বাস্তবিকই দেবভোগ্য ছিল । রামেশ্বরী শিবায়ণে ইহাদের অনেকগুলির উল্লেখ আছে । ৯। আদি-যুগে জ্যোতিষের উপর খুব নির্ভর ছিল, শুধু ডাক ও খনার বচনে নহে, অপরাপর পুস্তকেও এই জ্যোভিষের অনেক কথা আছে। জ্যোতিবের সূত্রগুলি ছড়াতে অতি সহজ করিয়া বলা আছে, চাষারাও এক সময়ে তাহা বুৰিত। একটা দৃষ্টান্ত দিতেছি –