পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুল বাঙ্গালা সাহিত্য ১৩৯ তালপাতা-ছাওয়া কুঁড়ে ঘরকে তাহার খুব বড় বলিয়া মনে করিতেন । এই ব্রাহ্মণ-প্রধান যুগের বাঙ্গালা সাহিত্যে সববত্র ব্রাহ্মণের জয়জয়কার । কাশীদাস লিখিয়াছেন— ব্রাহ্মণের ক্রোধে চন্দ্রে কলঙ্ক হইয়াছে, সমুদ্র লবণাক্ত হইয়াছে, স্বয়ং ভগবান ব্রাহ্মণের লাথি বুকে ধারণ করিয়াছেন, ব্রাহ্মণের ক্রোধে সগর রাজা নিৰ্ব্বংশ হইয়াছে। এই সকল আজগুবি কথার স্থষ্টি করিয়া ব্রাহ্মণকে বাড়ানো হইয়াছে । পুথিবীতে যে কোনরূপে কেহ সৌভাগ্যশালী হইয়াছে, তাহ ব্ৰাহ্মণের আশীৰ্ব্বাদের ফল ; এবং যে কেহ কোনরূপ কষ্ট পাইয়াছে—তাহা সকলই ব্রাহ্মণের অভিশাপের ফল ;–বাঙ্গালা রামায়ণ ও মহাভারতগুলি পাঠ করিলে দেখা যায়, এই কথাটিই খুব জোরে ডক্ষানাদে ঘোষিত হইয়াছে । বলা বাহুল্য বাঙ্গালা সাহিত্যের আদি-যুগে এইরূপ একট কাথাও নাই । ব্রাহ্মণগণকে দান করিলে নানারূপ শুভফল পাওয়া যায়, স্বর্গ তে। দাতার হাতে আপনি ধরা পড়ে,--এই কথা سي. ويتنقيبة } ؟ ব্রাহ্মণ্য-প্রধান এই সাহিত্যের পত্রে পত্রে।