পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ9) আদি ও ব্রাহ্মণ্য-যুগ আদিযুগের সাহিত্যে ব্রাহ্মণ বা দেবতার কোন প্রভাব নাই, তাহ পূর্বেই বলিয়াছি। গুরু এবং সিদ্ধপুরুষেরই সেই সাহিত্যে সর্বাপেক্ষ বড় পদ। দেবতারা তথায় অক্ষম । সিদ্ধ গুরুর চোটে দেবতারা অস্থির। হাড়িসিদ্ধা ইন্দ্রের পুত্র মেঘনালকে দিয়া নিজ মাথায় ছত্র ধরাইয়াছেন, চন্দ্ৰ-সূৰ্য্য দুইটাকে ধরিয়া আনিয়া দুই কর্ণের কুণ্ডল করিয়া পরিয়াছেন ; ভগবানের অবতার কুম্মের পৃষ্ঠে রন্ধন করিয়াছেন। ময়নামতী যমকে তাড়া করিয়া যে সকল শাস্তি দিয়াছেন, তাহা ময়নামতীর গানে খুব বিশেষরূপে বর্ণিত হইয়াছে। গোরক্ষনাথ যোগী স্বয়ং ভগবতীকে লাঞ্ছনার শেষ করিয়াছেন, লাউসেন সূৰ্য্যকে পশ্চিম হইতে উদয় করাইয়াছেন। ব্রাহ্মণ্য-প্রধান যুগে দেখিতে পাই, দেকের দেবতাদিগকে ভক্তি স্থতি করিতেছে । কিন্তু আদিযুগে দেবতারাই মানুষকে ভয় করিতেছেন,— মানুষ দেবতাদিগের কুটি ধরিয়া তাহাদিগকে বশীভূত করিতেছে। সাহিত্যের এই অধ্যায়টি ভাল করিয়া পড়িলে তোমরা বুঝিবে কেন চণ্ডীদাস সেইযুগে লিখিয়াছিলেন—