পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গাল সাহিত্য ל9א צ" লাগিলেন। বৃদ্ধ বাল্মিকীর সুর একেবারে বদলাইয় ফেলিয়া বাঙ্গালীকবির রণক্ষেত্রকে সংকীৰ্ত্তন ভূমিতে পরিবর্তন করত,—নামকীৰ্ত্তন ও খোল করতাল বাদন করিতে লাগিলেন । সাহিত্যক্ষেত্রে বাঙ্গালীর শক্তি কতট, তাহ। ইহা দ্বারাই বেশ বোঝা যায় ; তাহার। বাল্মিকীকে পর্য্যন্ত নিজের ভাবে গড়িয়া লইল । যে কেহ বঙ্গদেশে আসিবেন, তাহাকে বাঙ্গালীর বেশভূষা পরিতে হইবে,— মারোয়ারী হউন, বিহারী হউন কিম্বা পুণার লোকই হউন, বাঙ্গলায় আসিলে বাঙ্গালী বণিতে হইবে । আগে কার দিনে সাহেবের পর্যান্ত ঢাকাই কাপড় পরিতেন এখন প্রভুত্ব দেখাইতে যাইয়া গায়ের জোরে তাহ। ছাড়িয়াছেন, যদিও তাহ ছাড়িয়া গলদঘৰ্ম্ম হইতেছেন । বৃদ্ধ বাল্মিকী বাঙ্গালায় বাঙ্গালীর বেশে আসিয়াছেন, কৃত্তিবাসের সঙ্গে বঙ্গীয় কবিরা একত্র হইয়া রামায়ণের যে রূপান্তর সাধন করিয়াছেন, সেই পুথিখানি সমস্তই কৃত্তিবাসী রামায়ণ নামে বাজারে বিকাইতেছে। কৃত্তিবাসের পরে রঘুনন্দন গোস্বামী নামে এক কবি প্রায় ২২৫ বৎসর পূৰ্ব্বে জার একখানি রামায়ণ রচনা করেন,