পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গাল সাহিত্য २०२ লোকের রুচিকর ছিল, সেই যুগে রামমোহন লোক রুচি উন্নতপথে ফিরাইয়া লইলেন। তিনি বাঙ্গলা লেখাকে সৰ্ব্ব প্রথম ভদ্রোচিত মৰ্য্যাদা ও গাম্ভীৰ্য্য প্রদান করিলেন । তিনি এত বড় সংস্কৃতের পণ্ডিত ছিলেন,বেদ বেদাস্ত উপনিষদ পুরাণ ছিল তাহার জিহবাগ্রে, কিন্তু তাহার বাঙ্গাল। একেবারেই সংস্কৃত শব্দ বোঝাই ছিল না,— পূর্বে যে পণ্ডিত বাঙ্গালার কথা বলিয়াছি,তাহার সঙ্গে রাজা রামমোহনের বাঙ্গলা সম্পূর্ণরূপে পৃথক। তিনি সহজ কথায় লিখিতেন,কিন্তু পাড়াগেয়ে কথায় ভাড়ামি তাহার লেখায় আদে ছিল না। বৈষ্ণব ‘জ্ঞানাদি সাধনা' পুস্তকের গদ্যের নমুনা আমি এই পুস্তকের ১৮৮ পৃষ্ঠায় দিয়াছি, র্তাহার রচনা কতকটা সেইরূপ ছিল, উহা খাটি বাঙ্গলা । রামমোহন রায় যে একখানি বাঙ্গলা ব্যাকরণ লিখিয়াছিলেন, তাহ আকারে ছোট হইলেও গুণে বড়। বাঙ্গলা ভাষার সঙ্গে যে সংস্কৃত ভাষার বিশেষ তফাৎ আছে, বাঙ্গলা ভাষার প্রকৃত রূপ কি, তাহাই রাজা রামমোহন রায় তাহার ক্ষুদ্র ব্যাকরণ খানিতে বুঝাইতে চেষ্টা পাইয়াছিলেন। এখনকার ব্যাকরণ