পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গালা সাহিত্য Հ ծՆ হাতের পুরস্কার পাইয়া নিজকে ধন্য মনে করিয়াছিলেন । প্রভাকর সম্পাদকের মুখের দুইটি প্রশংসার কথা শুনিবার জন্য তখন বড় বড় লেখক লালায়িত থাকিতেন । তাহার পর রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায় মহাশয় বঙ্গদেশের সর্বপ্রধান কবি হইয়া বাঙ্গলা সাহিত্যাকাশের তরুণ সূর্য্যের স্যায় প্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন। র্তাহার “পদ্মিনী উপাখ্যান” “কৰ্ম্মদেবা” “শূরসুন্দর” প্রভৃতি কাব্য বঙ্গীয় ভারতীর হস্তের কঙ্কণ ও কর্ণের কুণ্ডল বলিয়া পাঠকগণ গ্রহণ করিয়াছিলেন। সূর্য্যোদয়ে যেরূপ শুকতারা প্রভাহীন হইয়া যায়, মাইকলর মধুসূদনের আবির্ভাবে রঙ্গলাল সেইরূপ হতশ্ৰী হইয়৷ পড়িলেন । এই অৰ্দ্ধশত বৎসরের মধ্যে সাহিত্য-গগনে কত গ্রহ নক্ষত্রের উদয়াস্ত হইল। যখন যিনি হইয়াছেন, তখন লোকেরা মনে করিয়াছে সে রকমটি আর হয় নাই, হইবে না। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাহার ১৬ বৎসর বয়সের সময় লিখিয়াছিলেন যে সেই সময় মাইকেলের গোড়া এরূপ সকল পাঠক ছিলেন, যাহারা তাহার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলিলে ক্রোধে কম্পিত কলেবর হইয়া যাইতেন ।