পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গালা সাহিত্য ૨૨ જ শকুন্তলা ঈষৎ হাস্ত করিয়া কহিলেন,—”সখি অনুসূয়ে । কেবল পিতা আদেশ করিয়াছেন বলিয়াই জলসেচন করিতে আসিয়াছি এমন নয় ; আমারও ইহাদের উপর সোদর স্নেহ আছে।” ( ১ ) এই বলিয়া তপোবন তরুদিগকে সম্বোধন কfরয়া বলিলেন,—“হে সন্নিহিত তরুগণ । যিনি তোমাদিগকে জলসেচন না করিয়৷ কদাচ জলপান করিতেন না, যিনি তোমাদের ভূষণ-প্রিয় হইয়াও স্নেহবশতঃ কদাচ পল্লব ভাঙ্গিতেন না তোমাদের কুসুমপ্রসবের সময় র্যাহার আহলাদের সীমা থাকিত না, অষ্ঠ সেই শকুন্তলা পতিগৃহে যাইতেছেন. তোমরা সকলে অনুমতি কর।” ভাষা ও ভাবে এই সকল লেখা তীর্থ নীরের স্বায় পবিত্র । ইরাজী লেখার একটা জোর আছে, ভাষাকে বিদেশী ভাষার দ্বারা বিকৃত না করিয়া অক্ষয় দত্ত এই যুগে বাঙ্গালায় সেই জোরটি আনিয়াছিলেন। ইহা পণ্ডিতেরা পারেন নাই । অক্ষয় দত্ত মহাশয় ব্রিষ্টল নগরে রামমোহন রায়ের মৃত্যু হইলে যেরূপ ছন্দে তীব্র