পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গালা সাহিতা ২২২ সহজ ভাষার আশ্রয় করিয়াছেন । তাহার স্বপ্নদর্শন ও বাহাবস্তুর সঙ্গে মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচারের ভাষা স্থানে স্থানে সংস্কৃত শব্দের বাহুল্যে কতকটা ঘোরাল হইয়াছে, কিন্তু ভারতবর্ষের উপাসক সম্প্রদায়ের ভাষা বেশ প্রবাহময়ী । ইহার পরে দীনবন্ধু, মাইকেল, বঙ্কিমচন্দ্র, হেমচন্দ্র রবীন্দ্রনাথকে লইয়া সে যুগ আসিয়াছে, তাহার সম্বন্ধে আমরা কিছু এই পুস্তকে লিখিব না। আমাদের প্রাচীন সাহিত্যের একটা ধারা ছিল । নব যুগে সেই ধারা থামিয়া গিয়াছে। আমাদের দেশে পূৰ্ব্বে সকলকে না দিয়া কোন ব্যাপার হইতে পারিত না। আমোদ, আহলাদ, উৎসব এ সকলই সাৰ্ব্বজনীন হইত। হরিরলুটের যে ধারা—সকল ব্যাপারেই সেই রীতি ছিল । গৃহস্থ যত দরিদ্র হউক না কেন, সত্যগীরের সিন্নি হইতে—দুই পয়সার বাতাসা দিয়া হরির লুট পৰ্য্যন্ত কোন কাৰ্য্যেই সে দোর আগলাইয়। বাহিরকে ঠেকিয়া রাখে নাই। গরিবেরাও মহোৎসব দিও, তাহাতে ধনী, দরিদ্র, নিমন্ত্রিত, অনিমন্ত্রিত বলিয়া কোন বিচার থাকিত না, যে আসিয়াছে সেই পাত